জুন আন্টি। যাকে আমরা প্রতিদিন সন্ধ্যে ৭টা বাজলে টেলিভিশনে দেখতে পাই। জুন যিনি কিনা প্রতিদিন শ্রীময়ীকে জ্বালানো যায় তাই ভাবে প্রতিদিন। সম্প্রতি জুন অন্তঃসত্ত্বা তারপর শ্রীময়ী নাকি ভাবে তাঁর বাচ্চা নষ্ট করে দেয় বলে অভিযোগ করেন। শ্রীময়ী এখন করাদের ওপারে৷ অবশেষে শ্রীময়ী নির্দোষ আর জুনের শাস্তি হয়৷ জুন ওরফে ঊসষী চক্রবর্তী রিলে খারাপ হলে বাস্তবে তিনি বেশ হাসিখুশি আর ভালো মানুষ।
আজ ১৩ই ফেব্রুয়ারী। প্রেমের মাসের খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজকের দিনে প্রেমিক প্রেমিকা চুম্বনের মাধ্যমে নিজেদের ভালোবাসা উদযাপন করে থাকে। এবার জুন আন্টি নিজের কলেজ জীবনে চুম্বনের অভিজ্ঞতা জানালেন। ঊষসী সবে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হয়েছেন। অন্যদিকে তাঁর প্রেমিক ওরফে দেবাশীষ জয়েন্ট পরীক্ষা দিচ্ছেন৷ দুজনের চোখে তখন শুধুই বিপ্লবের স্বপ্ন। সেইসময় একদিন কলেজের একটি অনুষ্ঠানে দেবাশীষ নিজের হাতে ছবি এঁকে হাতে কার্ড বানিয়ে মেয়েটিকে প্রেম নিবেদন করেন। ঊষসী হাতে কার্ড পেয়ে বেশ খুশি হলেও প্রথমে পাত্তা দেয়নি৷ দিনের সাথে সাথে ছেলেটির আঁকা ছবি আরো জীবন্ত হয়ে উঠতে শুরু করে। মেয়েটিরও ভাল লাগে ছেলেটিকে ধীরে ধীরে। অবশেষে অভিনেত্রী প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান।
দীর্ঘ ৫ বছরের সম্পর্ক। প্রথম প্রেম তাই উন্মাদনাটাই অন্য। তার উপরে মা বাবা-কে লুকিয়ে প্রেম করার রোমাঞ্চটা আর একবিংশ শতাব্দীতে দেখা যায় না তাও জানালেন অভিনেত্রী। প্রায়দিন কলেজ থেকে আসতে দেরী হলে বলতেন রাস্তা অবরোধ। নিত্যনতুন বাড়িতে বকাও খেতেন তবুও অভিনেত্রী প্রেম চালিয়ে গিয়েছেন। কখনো একসাথে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফিরতেন তো কখনো বনধের দুপুরে প্রেমিকাকে দেখার ইচ্ছায় সাইকেল নিয়ে লেকটাউন চলে আসতেন প্রেমিক। অবশ্য বাবার ভয়ে অভিনেত্রী নীচে নামতে পারতেননা।
অভিনেত্রীর প্রথম চুম্বন এই দেবাশিসের সঙ্গেই। রুবির রাস্তার ভিতরে আনন্দপুরের এক ফুটপাথে বসে প্রথম চুমু খেয়েছিলেন এই যুগল। অবকাশ ছিল না। ওই মাও সে তুং-এর ছবির সামনে নাহলে কলকাতার রাজপথের ফুড়পাথে চলতো প্রেম। তাতে অভিনেত্রীর বেশ ভালোই লাগতো।অভিনেত্রী জানালেন, আজও যখন তিনি তার থেকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ফুটপাথে বসে প্রেম করতে দেখেন পুরোনো দিনে ফিরে যান তিনিও। তার কাছে সেই পাঁচ বছর বেশ স্পেশাল।
