ক্যালেন্ডার বলছে শরৎকাল চলছে। এদিকে আকাশ কালো করে যখন তখন ‘ঘনঘোর বরিষা’। তাতে অবশ্য বাঙালির পুজো প্রস্তুতি থেমে নেই। পাড়ায় পাড়ায় মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে। ছুটির দিনে সারি সারি ছাতার ভিড় হাতিবাগান, গড়িয়াহাট, শপিংমলগুলিতে। তারকারাও ব্যস্ত পুজো প্ল্যানিংয়ে। অভিনেত্রী ঊষসী রায়ের (Ushasi Ray) অবশ্য কেনাকাটার তাড়া নেই। পুজোয় করবেন কী তিনি? ঘোরাঘুরি, খাওয়াদাওয়া, প্রেম সবকিছু নিয়েই খুল্লমখুল্লা আড্ডা দিলেন অভিনেত্রী।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ঊষসী জানান, সারা বছর ধরেই জামাকাপড় কিনতে থাকেন তিনি। তাই পুজোর সময় আলাদা করে আর শপিং করেন না। আগে যখন কেনেন তখনই বেশি পছন্দের জামা গুলো আলাদা করে রাখেন পুজোয় পরবেন বলে। পুজোতে পরেন সেগুলোই। যদিও অভিনেত্রী বলেন, পুজোর কটা দিন শাড়ি পরতেই ভালো লাগে তাঁর। আসলে সারা বছর জুড়েই তো নানান ফটোশুট, শুটিংয়ের জন্য নানান পোশাক পরা হয়। তাই পুজোতে শাড়িতে বাঙালি নারী হয়ে উঠতেই বেশি পছন্দ করেন তিনি।
অভিনেতা অভিনেত্রী মানেই তাকে থাকতে হবে কড়া ডায়েটের মধ্যে। বিভিন্ন চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য আবার যোগ হয় বিশেষ ডায়েট। হ্যাপা কম নয়। উপরন্তু ঊষসীর ফিগার দেখলেই বেশ বোঝা যায় তিনি নিজেকে কতটা নিয়মে বেঁধে রাখেন। তবে সারা বছর ডায়েট চললেও পুজোর দিনগুলো আসেই তো নিয়ম ভাঙার বার্তা নিয়ে। এই কটা দিন ডায়েট কাকে বলে সেটাই ভুলে যান, বক্তব্য ঊষসীর।
আর পুজোর প্রেম? যে বাঙালি সরস্বতী পুজোকে ভ্যালেন্টাইনস ডে বানিয়ে ফেলতে পারে, দুর্গাপুজোর চারটে দিন তারা প্রেম করবে না তা কি হয়? মণ্ডপে চোখাচোখি থেকে শুরু হয়ে চারটে দিন দিব্যি পুজোর সঙ্গী জুটিয়ে নেন অনেকে। কিন্তু ঊষসীর আফসোস, সেটা তাঁর কোনোদিন হয়নি। হ্যাঁ, এমন হয়েছে যে কাউকে ভালো লেগে গিয়েছে। কিন্তু তাঁর কথায়, ‘ষষ্ঠীতে শুরু হয়ে দশমীতে বিসর্জন’ এমন প্রেম তাঁর জীবনে আসেনি। অবশ্য ঊষসীকে এ শহরে পাওয়া যাবে শুধু সপ্তমী পর্যন্ত। তারপরেই কলকাতাকে বাই বাই বলে তিনি পাড়ি দেবেন পাহাড়। সঙ্গী বন্ধুরা। পাহাড়েই বাকি পুজোটা কাটবে ঊষসীর।
View this post on Instagram