Vastu: জীবনে মারাত্মক পরিবর্তন চাইছেন! প্রতি সন্ধ্যায় এই উপায়ে পুড়িয়ে ফেলুন এই দুই জিনিস, মিলবে সুফল
বাস্তুশাস্ত্রে কর্পূর হল একটি ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। কারণ কর্পূর হল এমন একটি জিনিস যা ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিতে পারে যে কারো। এদিকে হিন্দুধর্মে কর্পূর হল একটি অত্যন্ত সাধারণ জিনিস। বিভিন্ন পূজার সময় কর্পূরের ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন সুগন্ধি তৈরিতেও ব্যবহার হয় কর্পূর। পাশাপাশি খাবারকে সুগন্ধি করে তুলতেও কর্পূর দেওয়ার রীতি রয়েছে। তবে এগুলি ছাড়াও কর্পূরের বেশ কিছু গুনাগুন রয়েছে, যা বাস্তুশাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। দেখে নিন বাড়িতে কোথায় কর্পূর রাখলে মিলবে সুফল।
কর্পূর পোড়ানোকে শুভ বলে মনে করা হয়। তাই বাড়িতে সুখ ও শান্তি বিঘ্নিত হলে কর্পূর মারাত্মকভাবে কাজ করে। বাস্তুশাস্ত্র মতে, এক টুকরো কর্পূরকে গোলাপ ফুলে মুড়ে সেটিকে দেবী দুর্গার সামনে পোড়ালে বাড়িতে শান্তি ফিরে আসে। তবে শুধুমাত্র কর্পূর রাখা নয়, কর্পূর পোড়ালেও তার প্রভাব পড়ে আমাদের জীবনের উপর। বলা বাহুল্য, এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে আমাদের জীবনে। তাই অনেকেই মনে করেন যে রোজ সন্ধ্যায় কর্পূর পোড়ালে বাড়ি থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।
এছাড়াও সকাল ও সন্ধ্যাবেলায় কর্পূরের প্রদীপ প্রজ্বলন করলে বাড়ি থেকে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব দূর হয়। এছাড়াও রান্নাঘরে লবঙ্গ ও কর্পূর একসাথে রেখে পোড়ালে সেই পরিবারের সদস্যদের চাকরির দিক থেকে সফলতা আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শুধুমাত্র কর্পূর নয়, লবঙ্গ দিয়েও বাড়ির নানা প্রতিকার হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আর্থিক অনটন হলে বাড়িতে মা লক্ষ্মীর সামনে ২১ টি লবঙ্গকে কর্পূর সহযোগে পুড়িয়ে প্রণাম করলে উপকার মিলবে।
তবে শুধু পোড়ানো নয়, কর্পূরকে বাড়ির নানা জায়গায় রাখলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। বাস্তশাস্ত্রে বলা আছে যে, বেডরুমে কর্পূর রাখলে এটি দাম্পত্য জীবনকে আরো বেশি সুখকর হতে পারে। এক্ষেত্রে দম্পতির মধ্যে মানসিক ও শারীরিক সম্পর্কও দৃঢ় হয়। এক্ষেত্রে বিছানা বা বালিশের নীচে কর্পূর রাখতে হয়। এছাড়াও আলমারিতে কর্পূরের টুকরো রাখলে সেই বাড়িতে মা লক্ষ্মীর কৃপা বর্ষিত হয়। এক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যাও দূর হয়। বাড়িতে সমৃদ্ধি ফিরে আসে দ্বিগুন হয়ে। পাশাপাশি, মানিব্যাগে কর্পূর রাখার উপকারিতা: মানিব্যাগেও কর্পূরের টুকরো রাখা যায়। এটি করলেও অর্থাভাব দূর হয়। কর্মজীবনে আসে সফলতা।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্য ও অনুমানের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। কুসংস্কারকে প্রচার করা আমাদের অভিপ্রায় নয়।