Vacation: পাহাড়-চা বাগানের মাঝে কটেজ ঘেরা সুইমিংপুল! সুইজারল্যান্ড ভুলে যাবেন এই পাহাড়ি গ্রামে এলে
সবথেকে পছন্দের জায়গা বা ড্রিম ডেস্টিনেশন কী? প্রশ্নটা শুনে অনেকেই উত্তর দিতে পারেন, সুইজারল্যান্ড (Switzerland)। বিশ্বের সবথেকে সুন্দর জায়গাগুলির মধ্যে একটি সুইজারল্যান্ড। কিন্তু বাকেট লিস্টে থাকলেও সবার পক্ষে তো আর সম্ভব হয়ে ওঠে না সেখানে যাওয়া। মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় নানান কারণ। তবে সুইজারল্যান্ডে যেতে না পারলেও যদি সুইজারল্যান্ডকেই কাছাকাছি নিয়ে আসা যায় তাহলে কেমন হয়?
‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া’, কবিতাটা তো শুনেছেন সকলেই। এই বাংলার বুকেই এমন এমন সব জায়গা রয়েছে যেগুলি বিদেশকেও ফেল করিয়ে দেবে। তবে এর মধ্যে অনেক জায়গাতেই তেমন ভাবে টুরিস্টদের পা পড়েনি। প্রকৃতি নিজের সৌন্দর্যের ডালা সাজিয়ে অপেক্ষা করে রয়েছে পর্যটকদের স্বাগত জানানোর জন্য। এমনই একটি জায়গা হল বেলতার (Beltar), যা দেখে ‘বাংলার সুইজারল্যান্ড’ও বলা যাবে।
নর্থ বেঙ্গলের সৌন্দর্য নিয়ে তো নতুন করে কিছুই বলার নেই। এখানে এখনো অনেক পাহাড়ি গ্রাম রয়েছে যেগুলি পর্যটকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে দিতে পারে। বেলতার পড়ে সেই তালিকাতেই। কার্শিয়াংয়ের এই পাহাড়ি গ্রামে মূলত লেপচাদের বাস। একবার এখানে এসে পৌঁছালে আর ফিরে যেতে ইচ্ছা করবে না শহুরে ইঁট পাথরের জঙ্গলে কর্মব্যস্ত জীবনে। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ঝুড়ি সাজিয়ে বসে রয়েছে বেলতার। তবে এই পাহাড়ি গ্রামের মূল আকর্ষণ কিন্তু এখানকার রিভারসাইড রিসর্ট। দুদিকে মহারানি পাহাড়, মার্গারেট হোপ চা বাগান, পাহাড়ি নদীর মাঝে খেলনা বাড়ির মতো সাজানো কাঠের কটেজ। তাদের সামনে আবার বিরাট সুইমিং পুল।
অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার মতোই ব্যাপার বটে। পাহাড়ে যেখানে হোমস্টের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে, সেখানে সুইমিং পুল বিরল বলাই চলে। ঠাণ্ডার মধ্যেও এই পুলের জলে একবার গা ভাসালে চারদিকের দৃশ্য দেখে মনে বিভ্রম সৃষ্টি হতে বাধ্য, আদৌ জায়গাটা পশ্চিমবঙ্গে নাকি বিদেশে! সকালে পুলে হুল্লোড়, রাতে কনকনে শীতে আগুনের ওম গায়ে মেখে বনফায়ার। চাইলে ঘুরে আসতে পারেন ডাওহিল, হনুমান টক, ইগলস ক্র্যাগ, মার্গারেট ডেক ঝুলন্ত ক্যাফে। নিউ জলপাইগুড়ি বা বাগডোগরা থেকে গাড়ি নিয়ে কার্শিয়াং হয়ে বেলতার রিভারসাইড রিসর্ট আসতে পারেন। কিংবা এনবিএসটিসির সরকারি বাস বা শেয়ার ট্যাক্সিতে কার্শিয়াং নেমে সেখান থেকে যেতে পারেন বেলতার। খরচ হবে ৫০০ টাকা। জানিয়ে রাখি, এই কটেজগুলি পরিচালনা করে জিটিএ। তাই বুকিং করতে হলে জিটিএ এর ওয়েবসাইট থেকে বা ফোন করে বুক করতে হবে।