Ranu Mondal: একসময়ের বিপুল জনপ্রিয়তা হারিয়ে কেমন আছেন রাণু মন্ডল!
বর্তমানে রাণু মন্ডল (Ranu Mondal) তাঁর রাণাঘাটের বাড়িতে কোনোমতে দিন যাপন করছেন। বাড়ির সামনে প্রায়ই লেগে থাকে ইউটিউবারদের ভিড়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইউটিউবাররা রাণুর জন্য খাবার হিসাবে নিয়ে আসেন বিরিয়ানি। বয়সের কারণে ইদানিং বিরিয়ানি খেলে শরীর ভালো থাকে না রাণুর। তবে অধিকাংশ রাত অভুক্ত থাকতে হয় রাণুকে। ফ্রিজ নেই। ফলে ভাত রেঁধে রাখতে পারেন না দুই বেলার জন্য। এই কারণে রাতে রাণু বিস্কুট ও জল খেয়ে থাকেন। তবে তিনি জানতেও পারেন না, কখন একজন সঙ্গীতশিল্পী সকলের বিদ্রুপের পাত্র হয়ে ওঠেন।
একসময় রাণাঘাট স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে গান গাইতেন রাণু। তাঁর মেয়ে কবেই তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। প্ল্যাটফর্মে বসে গান গেয়ে রাণুর রোজগার ছিল কিছু টাকা। কেউ দয়া করলে জুটে যেত কেক বা পাউরুটি। রাণাঘাটের বাসিন্দা অতীন্দ্র (Atindra)-র চোখে পড়ে গিয়েছিলেন রাণু। স্থানীয় ক্লাবের সদস্য অতীন্দ্র রাণুর কন্ঠে ‘এক পেয়ার কা নাগমা’ নিজের মোবাইল ক্যামেরায় ভিডিও করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছিলেন। এরপরেই রাতারাতি ঘুরে যায় রাণুর জীবনের মোড়। মুম্বইয়ে তাঁকে একটি রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে বিশেষ অতিথি রূপে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সঙ্গী অবশ্যই ছিলেন অতীন্দ্র।
View this post on Instagram
রাণুর গান শুনে হিমেশ রেশমিয়া (Himesh Reshmiya) তাঁকে সুযোগ দিয়েছিলেন প্লে ব্যাকের। রাণুর কন্ঠে বিখ্যাত হয়েছিল ‘তেরি মেরি কহানি’। এরপর প্রচুর ইভেন্টে আমন্ত্রণ পেতে থাকেন রাণু। কিন্তু এর মধ্যেই উপস্থিত হয় করোনাকাল। লকডাউনে রাণুও হয়ে পড়েন কর্মহীন। ততদিনে রটে গিয়েছে, তিনি অহঙ্কারী। ধীরে ধীরে দারিদ্র্যের অন্ধকার আবারও গ্রাস করে রাণুকে। এত কাজ করেও কোনো টাকা চোখেই দেখেননি রাণু। সব টাকা গ্রাস করেছিলেন অতীন্দ্র ও তাঁর দল। ইউটিউবারদের হানা শুরু হয় রাণুর বাড়িতে।
এর মধ্যেই বাংলাদেশের শিল্পী হিরো আলম (Hero Alam)-এর সাথে গান গেয়েছেন রাণু। তবে তা পায়নি আগের মতো জনপ্রিয়তা। রাণু ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছেন অন্ধকারে। বর্তমান সময়ে তিনি শুধুই ইউটিউবারদের কন্টেন্ট।
View this post on Instagram