Water Tank Cleaning: এই ঘরোয়া উপায়ে সহজেই পরিষ্কার করুন জলের ট্যাঙ্ক, ১০০ রোগ থাকবে দূরে
সুস্থ ও সুরক্ষিত জীবনযাপন করার জন্য আমাদেরকে থসক্তে হয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে। শুধু পরিষ্কার জামাকাপড় পড়লে বা রোজ স্নান করলেই কিন্তু আমরা সব রোগের থেকে দূরে থাকতে পারবো না। কারণ এর সঙ্গে আরও বিভিন্ন দিক দিয়ে আমাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হয়। তাতে মধ্যে অন্যতম হল গৃহস্থালির নানা ব্যবহার্য জিনিসপত্র। রান্নাঘরের প্রতিটি জিনিস থেকে বেডরুম এমনকি বাড়ির ছাদে থাকা বিভিন্ন জিনিসকেও পরিষ্কার রাখতে হয় আমাদের।
যেহেতু জল হল আমাদের ব্যবহার্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, তাই এই জলের উৎস অর্থাৎ জলের ট্যাঙ্ক পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরী। অনেকেই টাকা দিয়ে এই কাজ করিয়ে থাকেন। কিন্তু আপনি নিজে নিজেই এই কাজ বাড়িতে করতে পারবেন কয়েকটি উপাদান দিয়ে। এর জন্য প্রথমেই ট্যাঙ্কের সব জল বের করে নিতে হবে। তলানিতে যেটুকু জল পড়ে থাকবে, তার সঙ্গে ডিটারজেন্ট পাউডার বা জেল ঢেলে ভালোভাবে সেটিকে জলের সঙ্গে মিশিয়ে এভাবে ভিজিয়ে রাখতে হবে ২৪ ঘন্টা। এই সময়ের পর ভালোভাবে ট্যাঙ্কের দেওয়াল ঘষে নিতে হবে ব্রাশ দিয়ে। ট্যাঙ্কের কোণায় জমে থাকা শ্যাওলা তুলতে পুরানো টুথব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন।
তবে অনেক ক্ষেত্রে এভাবে ডিটারজেন্ট দিয়েও সব ময়লা বা শ্যাওলা ওঠেনা। তেমনটা হলে রি কাজ করার পর ট্যাঙ্কে গরম জল ঢেলে রাখতে হবে কিছুক্ষন। তারপর ট্যাঙ্কে বেকিং সোডা দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন কিছুক্ষন। তারপর অতি সাবধানে জলের ফ্লো বাড়িয়ে ট্যাঙ্কের দেওয়াল ঘষে ঘষে পরিষ্কার করুন। তাতেও কাজ না হলে শেষমেষ ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন। ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ঘষে নিলেই সব নোংরা উঠে যাবে। তবে কাজটি করতে হবে সাবধানে। কারণ ব্লিচের কারণে জামাকাপড়ের ক্ষতি হতে পারে।
তবে ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ধোয়া হলে পর্যাপ্ত জল দিয়ে ট্যাঙ্কটিকে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে পাইপে ক্লিনিং সলিউশন জেল ঢেলে পাইপ পরিষ্কার করে নিতে পারেন। তবে পুনরায় ট্যাংকটিকে ব্যবহার করার আগে সেটিকে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন যাতে জলের ট্যাঙ্কে কোনোরকম রাসায়নিক মিশে না থাকে।
Disclaimer: সাবধানে যত্ন নিয়ে কাজটি করুন। জলে রাসায়নিক মিশে থাকলে বিপদের সম্ভাবনা বাড়ে। তাই বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া শ্রেয়।