Ration Scam: দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার রাজ্যের আরো এক মন্ত্রী, ‘ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি মন্ত্রীর
পুজোর পরেই রাজ্যের দুর্নীতি মামলার তদন্ত নিয়ে বিশেষভাবে সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর ত্রয়োদশীর দিনেই এক বড়সড় পদক্ষেপ নিলেন ইডি গোয়েন্দারা। ভোর রাতে গ্রেপ্তার করা হল রাজ্যের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। গত বছরই রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আর এবার গ্রেপ্তার হলেন রাজ্যের আরেক মন্ত্রী। তবে তার গ্রেপ্তারের কারণ কিন্তু অন্য একটি দুর্নীতি মামলা। তাকে গ্রেপ্তার করা হল রেশন দুর্নীতি মামলায়।
এই গোটা ঘটনার কার্যক্রম শুরু হয় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই। গতকাল সকাল সাড়ে ছটায় ইডি আধিকারিকরা প্রথমেই হানা দেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে। সেদিন থেকেই সল্টলেকের BC ২৪৪ ও ২৪৫ নম্বর বাড়িতে চলে দীর্ঘ তল্লাশি অভিযান। এছাড়াও এদিন মন্ত্রীর আমহার্স্ট স্ট্রিটের বেনিয়াটোলা লেনের বাড়িতেও অভিযান চালায় ইডি আধিকারিকরা। তবে এখানেই শেষ হয়নি, এদিন ইডির গোয়েন্দারা তল্লাশি চালায় মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক অমিত দে-এর বাড়িতেও। আর তারপরেই নেওয়া হয় এই বড়সড় সিদ্ধান্ত।
ইডি সূত্রে জানা গেছে, একটানা ২১ ঘন্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, আজ রাত ১.৩৫ মিনিটে গ্রেপ্তারীর কাগজে সই করানো হয় রাজ্যের মন্ত্রীকে। তারপই ভোর ৩.২২ মিনিট নাগাদ তাকে বাড়ি থেকে বার করে রাত প্রায় ৩.৩০ মিনিট নাগাদ তাকে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে আনা হয়। সকালে তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ইডি সূত্রে জানা গেছে, বয়ানে অসঙ্গতি সহ একাধিক অভিযোগে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়।
আর সেখানেই তিনি তোপ দেগে বলেন, “গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার আমি। বিজেপি ষড়যন্ত্র করেছে। শুভেন্দু ষড়যন্ত্র করেছে।” অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রীর এই নিয়ে প্রসঙ্গে উলটো সুর শোনা যাচ্ছে বিজেপি নেতাদের কণ্ঠে। দিল্লিতে বসে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “কে কে গ্রেপ্তার হবে, তার লম্বা তালিকা তো তৈরিই আছে। আর হবে নাই বা কেন? সাধারণ মানুষের সঙ্গে এত দুর্নীতি করলে গ্রেপ্তার তো হতেই হবে। শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষমতা থাকলে তৃণমূলের সব এমপি, এমএলএ-দের সবাইকে জেলে ঢোকাতে পারে।”