Ration Slip: রেশন স্লিপ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মমতা সরকারের, মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের
ভারতের প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে রেশন কার্ডের অধিকার। দেশে খাদ্যাভাব দূর করতে এই ব্যবস্থার সূচনা ঘটে স্বাধীনতার পরেই। আর এই রেশন কার্ড রয়েছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তি মাসে মাসে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন। রেশন কার্ড থাকলে সেই কার্ডের ভিত্তিতে নির্ধারিত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয় স্থানীয় রেশন শপ থেকে। তবে সবার ক্ষেত্রে সমান খাদ্যদ্রব্য বণ্টন করা হয় না। কোন গ্রাহক কত পরিমানে খাদ্য শস্য পাবেন তা ঠিক হবে তাঁর রেশন কার্ডের উপর।
দেশের রেশন ব্যবস্থা চালু রাখতে বেশ কিছু অনুমোদিত দোকান থেকে এই রেশন প্রদান করা হয় গ্রাহকদের। লাইনে দাঁড়িয়ে কিংবা কার্ড জমা দিয়ে রেশনের সামগ্রী সংগ্রহ করতে হয় নাগরিকদের। তবে এক্ষেত্রে কার্ড অনুযায়ী আলাদা আলাদা হয় বরাদ্দকৃত রেশনের পরিমাণ। তবে এত কিছু সত্ত্বেও রেশন ব্যবস্থার ভেতরেই একাধিক অব্যবস্থা রয়ে গেছে। তাই রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। আর এবার এমনই একটি সিদ্ধান্তকে ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক।
সম্প্রতি, কেন্দ্রের তরফে রেশন গ্রাহকদের রেশন নেওয়ার জন্য বায়োমেট্রিক দেওয়ার পাশাপাশি রেশনের স্লিপ ব্যবহারের নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। আর কেন্দ্র সরকার নির্দেশ দিয়েছে যে এই ধরণের স্লিপে কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম ও লোগো ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে মোদি সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে স্লিপের ওপর গরিব কল্যাণ যোজনার নাম এবং লোগো ব্যবহার করতে হবে রাজ্যে। আর এই বিষয়টি নিয়ে এখন চূড়ান্ত তৎপরতা চলছে রাজ্যে। তবে এই বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত কিন্তু নেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করেনি রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার এই বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে যে এক্ষেত্রে রাজ্যের প্রকল্প ‘খাদ্যসাথী’র নাম ও লোগো ব্যবহার করা উচিত। এক্ষেত্রে রেশন স্লিপের উপর অধিকার নিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভ্রাট। উল্লেখ্য, বর্তমানে রেশন গ্রাহকরা বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন PMGKY প্রকল্পের আওতায়। তবে এই বিষয়ে রাজ্যের দাবি, কেন্দ্র বিনামূল্য রেশন দিলেও তার তার পরিবহন, ডিস্ট্রিবিউশন ও ডিলারদের যাবতীয় খরচা বহন করে রাজ্য সরকার। তাই এক্ষেত্রে রাজ্যের অধিকার বেশি। মোটের উপর এই নিয়ে সংঘাত এখন তুঙ্গে।