Weather Update: আকাশের মুখভার, আগামী ২৪ ঘন্টায় থাকছে বৃষ্টির সম্ভাবনা
বাংলায় একের পর এক ঝঞ্ঝাট-এর সমাহার। নতুন বছরের শুরুতে প্রথমে এলো ওমিক্রন, আবার এসে গেলো পশ্চিমীঝঞ্জা। প্রবাদ আছে ‘একে রামে রক্ষে নেই, তায় আবার সুগ্রীব দোসর’। শীত হয়েছে কুপোকাত। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর অনেকদিন আগে থেকে পূর্বাভাস দিয়ে যাচ্ছিল পশ্চিমীঝঞ্জার। এখন তার সাথে শিলাবৃষ্টি আবার তুষারপাতও অব্যাহত। উত্তরবঙ্গ নাজেহাল হয়ে পড়ছে এই সবের জেরে।
কথা রাখল বৃষ্টি। ২১ তারিখে উত্তরবঙ্গকে ভাসিয়ে ২২ তারিখ শনিবারই বাংলার শহরের বুকে শুরু হলো ঝমঝমিয়ে। ভোর থেকে কুয়াশায় ঢেকে মুখ বেজায় ভার করে বসেছিল আকাশ। বেলা বাড়তে না বাড়তেই বৃষ্টি, তারপর পারদের উত্থান তো বজায় আছেই। পশ্চিমীঝঞ্জা ও নিম্নচাপের ফলেই উত্তরের হাওয়া গতি পাচ্ছেনা। সাথে আবার দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে যা গঙ্গাসাগর যাওয়ার সময় প্রচুর জলীয় বাষ্প রেখে গেছে। তাই এই দুর্দশা। মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলার হাল বেহালই তবে বরাদ্দ। কার্যতই বিরক্ত রাজ্যবাসী। তবে হ্যাঁ শীত বুধবার থেকে ঘুরে ফিরে আসার সম্ভবনাও থাকছে। জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদগণ।
২২ তারিখ অর্থাৎ শনিবারের আবহাওয়া:
আজ থেকেই বদলাবে আবহাওয়া। রোদের দেখা মিলবেনা । সারাদিন মুখ ভার করে থাকবে আকাশ। কুয়াশাবৃত হয়ে থাকবে প্রকৃতি। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হবে ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাথে বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ থাকবে সর্বোচ্চ ৯৮% এবং সর্বনিম্ন ৪৩%। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির তীব্রতা বেশ বাড়বে। মৌসুম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম ও নদীয়া হালকা বৃষ্টি দেখবে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগণা সকাল সকাল বৃষ্টির সম্মুখীন হয়ে গিয়েছে।
উত্তরবঙ্গের ৫টি জেলাতে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনার আভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বিশেষত দার্জিলিং-এর সান্দাখফু ও টাইগার হিল তুষারপাতের সাথে সাথে ধ্বসের কবলেও পড়তে পারে। দার্জিলিং এর সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১০° সেলসিয়াস ও ৪° সেলসিয়াসের আশেপাশে। অসময়ের বৃষ্টি অনেক ক্ষতি হানতে পারে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।