যখন প্রবল বর্ষণে ধ্বস নামছে সিকিমে, ঠিক সেই সময় অস্বস্তিকর ঘর্মাক্ত পরিবেশ কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) সর্বত্র। নিত্যযাত্রীরা অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়েই ট্রেনে, বাসে উঠে ঘেমে নেয়ে অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছেন। তবে বাড়িতে থেকেও খুব একটা স্বস্তি পাচ্ছেন না কেউই। আবহাওয়াবিদরা আশা করেছিলেন, কেরলে বর্ষা যেহেতু ঢুকে গেছে, তাই জুনের দ্বিতীয় সপ্তাতেই স্বস্তি ফিরবে দক্ষিণবঙ্গে, কিন্তু কিছুই হলো না।
উত্তরবঙ্গে বর্ষার দাপাদাপি চলছে, প্রতিদিনই প্রায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গবাসী চাতক পাখির মত আকাশের দিকে চেয়ে আছেন, একটু জলের আশায়। ঠিক এই মুহূর্তেই আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানালো একটা ভয়ংকর খবর, যা শুনে দক্ষিণবঙ্গবাসীর মাথায় হাত জমা গেল পিছিয়ে গেছে বর্ষা, ফের গরমের দাপট চলবে।
এর মাঝেও স্বস্তির খবর
দক্ষিণবঙ্গবাসী যখন আকাশের দিকে চাতক পাখির মতন চেয়ে আছে ছিটেফোঁটা বৃষ্টির আশায়, ঠিক সেই সময় স্বস্তির খবর দেখা গেল নদিয়ার কৃষ্ণনগর বেশ কয়েকটি জায়গাতে শান্তির বৃষ্টি হয়েছে গতকাল রাতে।
দক্ষিণবঙ্গে পিছিয়ে গেল বর্ষা
উত্তরবঙ্গে এবারে একদিন আগেই বর্ষা প্রবেশ করেছে, তাই আবহাওয়াবিদরা আশা করেছিলেন, হয়তো দক্ষিণবঙ্গে মোটামুটি জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহেতেই বর্ষার আগমন হবে, কিন্তু বর্ষা আসতে আরো বেশ কয়েকটা দিন বাকি, এমন ভয়ংকর খবর জানিয়ে দিলেন তারা। গরমের সাথে বজায় থাকবে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি। গাঙ্গেয় এবং উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে গরম আর আর্দ্রতাজনিত এই অস্বস্তি থেকেই যাবে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে সম্ভাবনা রয়েছে তাপপ্রবাহের। তবে আশার খবর জানানো হচ্ছে যে, ১৪ থেকে ১৬ তারিখে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। যার জেরে কিছুটা হলেও তাপমাত্রার পতন হবে।
উত্তরবঙ্গে রয়েছে বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
উত্তরবঙ্গে বর্ষা কাছে চলে এলেও, দক্ষিণবঙ্গে এখনো আসেনি। মাঝপথেই থমকে থেমে রয়েছে। তাই উত্তরবঙ্গের জেলায় ভারী বৃষ্টি হলেও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এই জেলাগুলিতে চলবে তাপপ্রবাহ। বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে এমন গরম থাকবে তারপর কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।