Weather: মেঘমুক্ত আকাশ নাকি ঝিরঝিরে বৃষ্টি! আবহাওয়ার আপডেট দেখেই সেরে নিন দ্বিতীয়ার প্ল্যান
আজ দ্বিতীয়া। মাতৃপক্ষের সূচনার দ্বিতীয় দিন আজ। তাই পুজো যে এসেই গেছে তা জানান দিচ্ছে কাশবন আর নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো পেঁজা তুলোর মতো সাদা মেঘ। পুজোর আমেজ এখন বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে। জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে চারদিকে। ইতিমধ্যে অনেক মণ্ডপে ভিড় জমছে দর্শনার্থীদের। তবে ও এক মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। এমন সময় অকাল বৃষ্টি যাতে না আসে, তাই চাইছেন সকলেই। তাই মুহুর্মুহু আবহাওয়ার আপডেটের দিকে নজর রাখছে উৎসুক বাঙালি।
এদিকে গত সপ্তাহের বন্যার স্মৃতি এখনো টাটকা বাঙালির মনে। তাই পুজোর আবহাওয়া নিয়ে অনেকেই আশঙ্কায়। যদিও পুজোতে ভারী বৃষ্টির তেমন পূর্বাভাস দেয়নি হাওয়া অফিস। যদিও মৌসম ভবন জানিয়েছে যে বর্ষার বিদায় ঘটেছে দক্ষিণবঙ্গ থেকে। তবে পুজোর শেষের দুদিন হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে পুজোর আগে তেমন বৃষ্টি হবেনা বলেই জানা গেছে। এখন একনজরে দেখে নিন যে আজ কেমন থাকবে রাজ্যের আবহাওয়া।
● কলকাতার আবহাওয়া: আজ শহর কলকাতার আকাশ মূলত মেঘমুক্ত ও রৌদ্রজ্বল থাকবে বলে পূর্বাভাস মিলেছে হাওয়া অফিসের তরফে। সেই কারণে পুরোদস্তুর প্রভাব দেখাবে শরৎকালের চড়া রোদ। তাই তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে আজ শহরে। আগামীকালও এমন আবহাওয়া থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হওয়া অফিস। পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ কলকাতার তাপমাত্রা থাকবে ৩৪ ডিগ্রি ও ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এছাড়াও বাতাসে আজ জলীয় বাষ্পের পরিমান থাকবে ৮৯ শতাংশ ও ৭০ শতাংশের মাঝামাঝি।
● দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া: আজ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ₹ তবে দিনের মাঝে দু-এক জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশ হতে পারে। কিন্তু বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কমার কারণে বৃষ্টির তেমন পূর্বাভাস নেই জেলাগুলিতে। আগামীকালও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তাই হালকা হালকা শীতের আমেজ অনুভূত হতে পারে। কারণ ইতিমধ্যে দক্ষিণ দিকে থেকে উত্তরের শুস্ক বাতাসের আগমন ঘটছে জেলায় জেলায়।
● উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া: উত্তরবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে একাধিক জেলায়। মহালয়ার সকাল অবধি ভিজতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলা। এইসব জেলার দু-এক জায়গায় মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে সেখানে। তবে আগামীকাল থেকে উত্তরবঙ্গেও ক্রমশ বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। ধীরে ধীরে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমবে এবং বৃষ্টিও কমে যাবে উত্তরবঙ্গে।