Tourism: দীঘা-পুরী আর নয়, সপ্তাহান্তে ঘুরে আসতে পারেন ছবির মতো সুন্দর এই গ্রাম থেকে
শীতকাল কিন্তু চলে যাবার সময় এসেছে, বসন্তের হাওয়া জানান দিচ্ছে, শীতকাল আর বেশি দিন নেই, তবে আপনি যদি এই সুযোগে কোথাও ঘুরে বেড়িয়ে আসতে চান তাহলে আপনার পরবর্তী ডেস্টিনেশন হতেই পারে পুরুলিয়া। পুরুলিয়া যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না কলকাতা হাওড়া এবং বোকারো থেকে ট্রেনে করে খুব সহজেই পুরুলিয়া স্টেশনে পৌঁছে যাওয়া যায়, এছাড়া প্লেনে করে বিরসা মুন্ডা বিমানবন্দর থেকে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন পুরুলিয়া। সবই একই পরিবারকে সাথে নিয়ে অথবা মনের মানুষের সঙ্গে হানিমুন কাটাতে ঘুরে আসুন অসাধারণ এই জায়গাটি থেকে।
প্রথমেই যে জায়গাটি ঘুরে আসতে পারেন সেটি হল গাজাবুরু পাহাড়, পুরুলিয়ার উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত অসাধারণ এই পাহাড়টি দেখতে লাগবে একেবারে স্বর্গের মতো। পাহাড়ের মধ্যে ছোট ছোট মন্দির উপাসনালয় রয়েছে। যারা ঈশ্বর ভক্ত আছেন, তারা কিন্তু পুরুলিয়া বেড়াতে গিয়ে এই ছোট ছোট মন্দিরগুলি দেখে আসবেন, এছাড়াও দেখে আসতে পারেন গড় পঞ্চকোট, অযোধ্যা এবং জয়চন্ডী পাহাড়।
পুরুলিয়ার অন্যতম আকর্ষণ অযোধ্যা পাহাড়। এই অযোধ্যা পাহাড়ের পরেই যেখান দিয়ে বয়ে গেছে সুবর্ণরেখা, কংসাবতী এবং কুমারী এই তিনটি নদী দেখে নিতে পারেন। ঘুরে ঘুরে সমস্তটা এছাড়াও এখানে সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত সিনেমা ‘হীরক রাজার দেশে’ শুটিং স্পট ‘জয়চন্ডী পাহাড়’ এবং ‘বাঘমুন্ডি’ পাহাড় ঘুরে ঘুরে দেখতে পারেন, এটিও অসাধারণ একটি দর্শনীয় স্থান।
কাছাকাছি ঘুরে আসতে পারেন সাহেববাদ জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্র। তারপরে আরো একটু এগিয়ে গেলে দেখতে পাবেন কুমারী কানন, কুমারী কানন মন্দির ওইখানেই রয়েছে ডিয়ার পার্ক, পুরুলিয়া বিখ্যাত ঝুমুর নাচ যদি দেখতে চান তাহলে ডিয়ার পার্কের বিপরীতে চলে যেতে হবে। সেখানেই দেখতে পাবেন অসাধারণ সাংস্কৃতিক নাচ।
অযোধ্যা পাহাড়ের পাশাপাশি দেখে আসতে পারেন পাখি পাহাড়, দুর্গা ফলস, আপার ড্যাম এবং লোয়ার ড্যাম। বাগমুন্ডি থেকে চলে যেতে পারেন চোরিদা গ্রামে। যেখানে অসাধারণ ছৌ নাচের ছোঁয়া পেতে পারেন। চোরিদা গ্রাম থেকে নেমে যেতে পারেন বুড়দা মোড় ওখান থেকে গেলেই কিছুটা গেলেই আপনি পেয়ে যাবেন খয়রাবেরা ড্যাম। পুরুলিয়া গেলে দেখে আসতে ভুলবেন তেলকুপি। জলের মধ্যে পুরো একটা নগর কিভাবে ডুবন্ত অবস্থায় রয়েছে, তার ইতিহাস এখানে গেলেই আপনি দেখতে পাবেন।
পুরুলিয়া যেতে গেলে এখনই উপযুক্ত সময় এই সময় গেলে শিমুল, পলাশের লাল লাল ফুলে ভরে থাকবে গোটা পুরুলিয়া শহর। একটু গরম পড়লে কিন্তু পুরুলিয়া আর যাওয়ার জন্য উপযুক্ত হবে না, কারণ সেখানে ভীষণ গরম পরে। থাকার জন্য রয়েছে প্রচুর হোটেল, রিসোর্ট। সবমিলিয়ে অসাধারণ হতে পারে, পুরুলিয়া ভ্রমণ। তাই আর দেরি না করে চটপট ব্যাগ গুছিয়ে চলেছেন পুরুলিয়া।