whatsapp channel
Hoop Life

Lifestyle: প্রতিদিন কি নকল কমলালেবু খাচ্ছেন? কিভাবে বুঝবেন!

অবিকল কমলালেবুর মতো দেখতে। স্বাদেও নেই বিশেষ তারতম্য। কিন্তু আদতে কমলালেবু নয়। বর্তমানে বাজারে ছেয়ে গেছে এই ছদ্মবেশী কমলালেবু। যার আসল নাম ‘কিনো’ (Kinnow)। এই প্রতিবেদনের শুরুতেই আপনার মনে হতে পারে যে বাজারে এই ছদ্মবেশী ফল কিনে ঠকে গেছেন ভীষণভাবে। কিন্তু আদতে তা নয়। এই ফলের মধ্যেও রয়েছে আশ্চর্যকর কিছু গুণাবলী।

পাঞ্জাবের ফলের রাজা হিসেবে পরিচিত কিনো। হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানাতেও এই ফলের চাষ হয় ব্যাপকভাবে। সাইট্রাস জাতীয় এই ফলের উপরিভাগ কমলালেবুর থেকে একটু বেশিই চকচকে ও মসৃণ হয়। এর খোসাও তুলনামূলকভাবে একটু পুরু ও শক্ত হয়ে থাকে। কিন্তু এই ফলের রয়েছে আশ্চর্যকর কিছু গুনাগুন। দেখে নিন একনজরে-

(১) বার্ধক্য রোধে: কিনো সাইট্রাস জাতীয় ফল। যে কারণে এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি রয়েছে। তাই নিয়মিত কিনো খেলে বয়সের ছাপ পড়েনা শরীরে। ত্বক থাকে উজ্জ্বল।

(২) হজমশক্তি বৃদ্ধিতে: শীতের দিনে অনেকেরই হজমের সমস্যা হয়। তাই দুপুরে খাবার পর কিনো খেলে হজম ভালো হয়। পেটের সমস্যা থাকে যোজন দূরে।

(৩) হাড়ের মজবুতিতে: অন্যান্য সাইট্রাস জাতীয় ফলের তুলনায় কিনো-তে রয়েছে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম। তাই রোজ কিনো খেলে হাড় মজবুত থাকে।

(৪) কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে: বর্তমান দিনে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি একটি সাধারণ সমস্যা। তবে কিনো খেলে কোলেস্টেরল থাকে নিয়ন্ত্রণে। ফলে হার্ট এটাক, স্ট্রোকের মতো বিপদ থেকে দূরে থাকা যায়।

(৫) এনার্জি প্রদানে: শীতকালে শরীরে এনার্জির অভাবে ভোগেন কমবেশি সকলেই। তবে কিনো-তে থাকা গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ ও সুক্রোজ শরীরকে প্রচুর পরিমানে এনার্জি প্রদানে সাহায্য করে। শরীর থাকে চাঙ্গা।

Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। যেকোনো শারীরিক সমস্যায় বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।

whatsapp logo

Debaprasad Mukherjee

Hoophaap-এর সম্পাদক দেবপ্রসাদ বিগত কয়েক বছর যাবৎ সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা, লাইফস্টাইল, প্রযুক্তি প্রভৃতি সব ধরণের খবরের উপস্থাপনার কাজে যথেষ্ট সাবলীল। নিউজ ডেস্ক ছাড়াও রয়েছে ভিডিও এডিটিং এবং ক্যামেরার পিছনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা