Tourism: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঘুরে আসুন কলকাতা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বের এই জায়গাটি থেকে
বাঙালি মানেই ভ্রমণ পিপাসু তবে, অনেক সময় বেশি দূরে যাওয়া সম্ভব হয় না ইচ্ছা করে কাছাকাছি কয়েকটা জায়গায় ঘুরে এলে মন্দ হয় না, কিন্তু যদি এমনটা মনে হয় আর ছুটি ও যদি কম পেয়ে থাকেন তাহলে কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে উড়িষ্যায় ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গাটি থেকে।
বেড়াতে গেলেই সব সময় খালি মনে হয় সমুদ্র আর জগন্নাথ দেবের মন্দির কিন্তু এগুলো ছাড়া উড়িষ্যায় দেখার মতন অনেক জিনিস আছে, উড়িষ্যার একটি অন্যতম জায়গা হল সিমলিপাল। কেউ যদি জঙ্গল ভালোবাসেন, তাহলে কিন্তু এই জায়গাটি তার ভীষণ পছন্দের হবে।
যদি ট্রেনে করে যান তাহলে প্রথমে পৌঁছতে হবে ভুবনেশ্বর থেকে সিমলিপালের দূরত্ব ১৯২ কিলোমিটার সেক্ষেত্রে সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে নিতে হবে। নামতে হবে বারিপদা স্টেশনে সেখান থেকে আবার সময় লাগবে ঘন্টা। এখান থেকে সিমলিপাল পৌঁছতে সময় লাগবে আর ও আধঘন্টা।
আর যদি সরল পথে যেতে চান, তাহলে ধর্মতলা থেকে বাস রয়েছে এবং নিজস্ব গাড়িতেও যেতে পারেন, পৌঁছতে সময় লাগবে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা। এছাড়া সিমলিপালের কাছাকাছি বিমানবন্দর ভুবনেশ্বর ভুবনেশ্বর থেকেও কিন্তু গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারেন সিমলিপাল।
যারা জঙ্গল ভালোবাসেন তাদের জায়গাটি কিন্তু বেশ ভালো লাগবে, দুদিকে ঘন অরণ্যের মধ্যে দিয়ে যখন গাড়িটি চলবে তখন মনে হবে যেন স্বর্গের মধ্যে এসে পড়েছেন, আর দেখতে পাবেন বরহিপানি এবং ঝারান্দা জলপ্রপাত, সেই জলপ্রপাতের আওয়াজে একেবারে মনে হবে যেন কোথায় এলুম, এ যেন একেবারে স্বর্গরাজ্য।
এখানে গেলে একসঙ্গে জঙ্গল, পাহাড়, ঝর্ণা সবকিছুই আপনি দেখতে পাবেন, তাহলেই বুঝতে পারছেন জায়গাটি কতটা সুন্দর তবে শীতকালে গেলে জলের স্রোত খুব একটা কম থাকে না, যদি সিমলিপালের আসল সৌন্দর্য অনুভব করতে চান, তাহলে বর্ষায় আর একবার ঘুরে আসতে পারেন।
এই সিমলিপাল কথাটি এসেছে শিমুল গাছের জন্য এই শিমুল গাছের জন্য। বিকালবেলা ঘুরে আসতে পারেন বুড়িবালামের নদীর ধার থেকে। তবে হাতে কিন্তু সব সময় ক্যামেরা রেখে দেবেন এত সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করতে ভুলে যাবেন না যেন। বাঘ ছাড়াও এই জঙ্গলে বুনো হাতি, চিতল হরিণ, বুনো খরগোস, বনবিড়াল, সম্বর, বুনো কাঠবিড়ালি, বুনো শুয়োর, হনুমান এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখবেন।