Hoop Special

Tourism: দার্জিলিং-এ যেতে চাইছেন? অবশ্যই দেখে ফেলুন এই জায়গাগুলি

গরম পড়তে না পড়তেই মন কি বলছে একটু দার্জিলিং বেড়াতে যাই? ভ্রমণ পিপাসা বাঙালি কিন্তু ইতিমধ্যেই দার্জিলিং যেতে শুরু করে দিয়েছেন, কারণ কলকাতায় এখন থেকে বেশ গরম পড়তে শুরু করে দিয়েছে, গরমের হাঁসফাসানি থেকে বাঁচতে একমাত্র ডেসটিনেশন দার্জিলিং। দার্জিলিং এ গিয়ে কোথায় থাকবেন? কোথায় কোথায় বেড়াতে যাবেন? কি কি খাবেন আজকে সেইসব নিয়ে আলোচনা করব, তাই দার্জিলিং যাওয়ার আগে একবার চোখ বুলিয়ে নিন।

প্রথমে জেনে নিন দার্জিলিং গিয়ে কোন জায়গা গুলি অবশ্যই দর্শন করবেন –

১) প্রথমেই যে দর্শনীয় স্থানটির কথা বলতে হয় সেটি হল ঘুম রেলস্টেশন, ঘুম রেলস্টেশন দেখতে কিন্তু এক্কেবারে মিস করবে না।

২) পৃথিবীর বিখ্যাত ঘুম মনাস্ট্রি অর্থাৎ বুদ্ধদের মন্দির দেখতে কিন্তু একেবারে মিস করবে না, এটি দেখতে ভীষণ সুন্দর, ভেতরের সৌন্দর্য আর দেখে আপনি আপ্লুত হয়ে যাবেন।

৩) পৃথিবীর বিখ্যাত বৌদ্ধ জাপানি টেম্পল দেখে আসতেও একেবারে ভুলে যাবেন না, ঘুম মনাস্ট্রির পাশাপাশি এটিও কিন্তু বেশ সুন্দর একটি জায়গা।

৪) স্বচ্ছ জলের ধারা ভিক্টোরিয়া ফলস দেখতে লাগবে একেবারে স্বপ্নের মতো, এই যে দেখতেও মিস করবেন না।

৫) দার্জিলিং এর অসাধারণ একটি দৃশ্য হলেও হোটেল বারে চেয়ারে বসে কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন। এই দৃশ্য হয়তো কেউ সহজে মিস করবেন না, কিন্তু ক্যামেরাবন্দি অবশ্যই করে রাখবেন, পরবর্তীকালে যখন কাজের ফাঁকে ছবিগুলো দেখবেন তখন কিন্তু মন এমনি ভাল হয়ে যাবে।

৬) এছাড়া পাথর কেটে তৈরি রক গার্ডেন এবং গঙ্গা মায়া পার্ক ঘুরে আসতে যেন ভুলবেন না।

৭) দার্জিলিং এর মূল আকর্ষণ টয়ট্রেন, করে পুরো শহরটাকে ঘুরে আসতে কেউ ভোলেন নাকি। সকালে শিলিগুড়ি থেকে বেরিয়ে বেলায় দার্জিলিং এসে পৌঁছে পারেন, আবার দার্জিলিং থেকে ঘুম স্টেশন অব্দিও ঘুরে আসতে পারেন। বর্তমানে অধিকাংশই ডিজেল ইঞ্জিন, তবে আগে স্টীম ইজ্ঞিনের ট্রেনও চলে।

৮) এখানকার আরও আকর্ষণ হল Padmaja Naidu Himalayan Zoological Park. এখানে বহু হিমালয়ান প্রজাতির সাথে সাথে এটি বিশ্বের মধ্যে একমাত্র চিড়িয়াখানা যেখানে ‘রেড পান্ডা’ এর সংরক্ষণ ও প্রজনন করানো হয়।

যারা এখনো পর্যন্ত দার্জিলিং গিয়ে পৌঁছাননি তারা কিভাবে দার্জিলিং এ পৌঁছবেন দেখে নিন –

ট্রেন পথে, সড়ক পথে এবং আকাশ পথে সহজে পৌঁছানো যায় দার্জিলিং, জেনে নিন, ট্রেন পথে কখন কখন কিভাবে পৌঁছবেন অসাধারণ এই জায়গাটিতে।

ট্রেন পথে – দার্জিলিং সবচেয়ে কাছের রেলওয়ে স্টেশন হলো নিউ জলপাইগুড়ি। জলপাইগুড়ি থেকে সহজেই যেকোনো জায়গা থেকে দার্জিলিঙে পৌঁছানো যাবে। নিচে কলকাতা থেকে কিভাবে দার্জিলিং আসবেন, সেই ট্রেনের তালিকায় একবার চোখ বুলিয়ে নিন-
কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস
তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস
হাওড়া – নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেস
সরাইঘাট এক্সপ্রেস
কামরূপ এক্সপ্রেস
উত্তর বঙ্গ এক্সপ্রেস
কাঞ্চন-কন্যা এক্সপ্রেস
দার্জিলিং মেল
পদাতিক এক্সপ্রেস

বিমানপথে– দার্জিলিংয়ের কাছাকাছি বিমানবন্দর হল বাগডোগরা, যা দার্জিলিং থেকে প্রায় ৬৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সহজেই বিমান পথে চলে আসতে পারবেন দার্জিলিং।

দার্জিলিং এ বেড়াতে যাবেন আর সেখানকার আঞ্চলিক খাবার টেস্ট না করেই চলে আসবেন, এমনটা তো হতে পারে না। তাই নিচে কতগুলি রেস্তোরাঁর তালিকা দেওয়া হল যাওয়ার আগে ভেবে নিতে পারবেন কোথায় গিয়ে আপনি ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনার সারবেন-

গ্লেনারিস (Glenary’s) – এই রেস্তোরাঁয়,চীনা খাদ্য, এবং তন্দুরি উপকরণ তৈরি করে। দার্জিলিং এর নামকরা রেস্তোরাগুলির মধ্যে একটি অসাধারণ একটি।

কেভেনটার্স (Keventers) – দার্জিলিং এর আরেকটি অন্যতম রেস্তোরাঁ হলো কভেন্টাস এর খোলা ছাদে বসে সকালবেলা ব্রেকফাস্ট করার মজাটাই আলাদা আর সামনে যদি দেখতে পান কাঞ্চনজঙ্ঘা তাহলে তো কোনো কথাই নেই।

সোনমস্ কিচেন (Sonam’s Kitchen) – দার্জিলিং এর আরেকটি অসাধারণ রেস্টুরেন্ট হলো সোনমস কিচেন। টোস্ট, প্যানকেক ও স্যান্ডউইচ খেয়ে দেখবেন। এছাড়াও, এখানের সূপ এবং পাস্তাটি খেয়ে দেখতে পারেন।

পার্ক রেস্তোরাঁ (The Park) – এই রেস্তোরাঁয় আপনি কিছু প্রকৃত থাই খাবার পেয়ে যাবেন। তাদের খাদ্য তালিকার সবচেয়ে বিখ্যাত উপকরণ হল টম খাঁ গাই, যা বানানো হয় এটি নারকেল, চিকেন দিয়ে।

দার্জিলিংয়ের বেড়াতে যাবেন আর প্যাকেট ভর্তি করে চা নিয়ে আসবেন না এমনটা তো হতেই পারে না, কিন্তু দার্জিলিংয়ের কোথা থেকে এই চা পাতা কিনবেন, দেখে নিন তার ছোট্ট একটা তালিকা-
১) ম্যালের কাছে অবস্থিত নাথমুল টি স্টোর, সানসেট লাউঞ্জ
২) গোল্ডেন টিপস টি লাউঞ্জ
৩) নেহেরু রোডে টি হাউস