Tourism: আপনি কি শিবের ভক্ত? ঘুরে আসতে পারেন মামা-ভাগ্নে পাহাড়ের শিব মন্দির থেকে
বীরভূমে বেড়াতে গেছেন অথচ মামা ভাগ্নে পাহাড় দর্শন করেননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না, যদিও এখন বীরভূমে বেশ গরম তাও যদি রহস্য ভালোবাসেন আর যদি শিবের ভক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন মামা ভাগ্নে পাহাড় থেকে। একেবারে দুবরাজপুর শহরের মাঝখানে অবস্থিত অসাধারণ এই পাহাড়ে চারিদিকে একেবারে জঙ্গল যারা কলকাতার কংক্রিটের জঙ্গল থেকে যাবেন তাদের কিন্তু এমন সবুজের জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে ভালোই লাগবে।
শুধুমাত্র পাহাড় দেখতেই এখানে কেউ যায়না, এখানে রয়েছে তিলেশ্বরে শিব মন্দির। আর এই শিবলিঙ্গ নাকি প্রতিদিন একটু একটু করে অর্থাৎ তিলে তিলে বড় হচ্ছে, তাই তো এই মন্দিরের নাম তিলেশ্বর শিব মন্দির। এই মন্দিরে উঠতে গেলে আপনাকে পাথরের সিঁড়ি বেয়ে বেশ খানিকটা উঠে যেতে হবে, এছাড়া এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন হেতমপুরের রাজবাড়ি।
শুধু তাই নয়, এই পাহাড়ির কাছেই আছে যোনিপীঠ স্থানীয় লোকেরা বিশ্বাস করেন, এই যোনিপীঠ নাকি, কামাখ্যার মতোই ভীষণ জাগ্রত, মামা ভাগ্নে পাহাড় ঘিরে একাধিক পৌরাণিক কাহিনী ও যথেষ্ট প্রচলিত আছে, এছাড়া শোনা যায়, হিমালয় যখন সেতুবন্ধনের পাথর রামচন্দ্র নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন কয়েকটা অংশ নাকি এখানে পড়ে যায়, আর এভাবেই তৈরি হয়ে যায় মামা ভাগ্নে পাহাড়।
নানান রকম ঐতিহাসিক কাহিনী ছাড়াও মামা ভাগ্নে পাহাড়কে অনেকেই বলেন ব্যালেন্সিং রোগ অর্থাৎ এর গঠন শৈলী দেখে মনে হয় যেন দুটো পাথর একটার উপর একটা ব্যালেন্স করে দাঁড়িয়ে আছে, আপনিও শিলা দিয়ে তৈরি ও অসাধারণ এই পাহাড়টি সত্যি দেখতে ভালো লাগে।
রঘু ডাকাত নাকি এই মামা ভাগ্নে পাহাড়ে ডেরা বেঁধেছিল, আর এখানেই নাকি সত্যজিৎ রায়ের গুপী গাইন বাঘা বাইন শুটিং হয়েছিল, এ ছাড়া পাহাড়ের আশেপাশেই রয়েছে পাহাড়েশ্বর আশ্রম, আসতে পারেন এত সুন্দর জায়গা থেকে, আর দেরি না করে বাড়ির সকলকে নিয়ে ছোট্ট একটা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে চলে যান মামা-ভাগ্নে পাহাড়।