Tourism: তিন-চার দিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন রাজগীর থেকে, মন ভালো হতে বাধ্য
কথাতেই আছে, বাঙালিরা বেড়াতে যেতে ভীষণ ভালোবাসে। তার মধ্যে যা শীত পড়েছে, এর মধ্যে একটু ব্যাগ গুছিয়ে বেড়াতে না গেলে, যেন মনটা ঠিক ভালোই লাগে না। তবে সব সময় বেড়াতে যাওয়ার জন্য পকেটে উপযুক্ত পরিমাণে টাকা থাকে না, তখন কিন্তু মনটা বেশ ভার হয়ে যায়, মনে হয় শুধুমাত্র টাকার জন্যই বোধহয় আর পৃথিবীটাকে দেখে আসা হবে না, কিন্তু সেই সমস্ত দুঃখ ভুলে আজকে আমাদের ডেস্টিনেশন বিহারের রাজগীর।
বিহারে গেলে দেখে আসতে পারেন মহাবোধি মন্দির। এই মন্দিরটি দেখলে সত্যিই মন প্রাণ একেবারে জুড়িয়ে যায়, মন্দিরের আবদ্ধ মূর্তিটি প্রায় ৮০ ফুট উঁচু। সারা বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে অনেক মানুষ আনাগোনা করেন, বছরে অন্তত একবার এখানে আসেন দোলাই লামা।
বুদ্ধগয়ায় দুদিন রাত কাটিয়ে চলে যেতে পারেন নালান্দায়। নালন্দা বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ১৪ হেক্টর এলাকা জুড়ে এই বিদ্যালয়। এখানে বেশিরভাগটাই ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে, কুষাণ রাজাদের সময় স্থাপত্য বিভিন্ন মূর্তিতে বুদ্ধমূর্তি, ছাত্রদের থাকার জায়গা, প্রার্থনা স্থান, মিউজিয়ামটি দেখতেই হবে।
নালন্দা দেখে নিয়ে চলে যেতে পারেন রাজগীরের উদ্দেশ্যে রাজগীর থেকে রাত্রে দূরত্ব মাত্র ১৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার পথের সিলাও গ্রামে যেতে পারেন, এখানে দেখতে পাবেন বিহারের বিখ্যাত সিলাও খাজা।
শুধু মগধ নয়, বুদ্ধের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে রাজগীরের নাম। রোপওয়ে করে নীচ থেকে উঠে যাওয়া যায় রত্নগিরি পর্বতের দিকে। সেখানে আছে মনাস্ট্রি ও শান্তিরস্তূপ দেখার মতো। এর পাশেই আছে গৃদ্ধকূট পর্বত। যেখানে উপদেশ শিষ্যদের দিয়ে যান বুদ্ধ। আর দেখার জায়গা আরেকটি হল হিন্দুদের তীর্থক্ষেত্রে উষ্ণ প্রস্রবণ এবং বৈভব পাহাড়ের উপরে অবস্থিত সপ্তর্ণী গুহা।
রাজগীর থেকে ফেরার পালা, ফেরার পথে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে দেখে নিতে পারেন পাওয়াপুরি, এটি হলো মহাবীরের মহাপরিনির্বাণ স্থান। রাজগীর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বিহারশরিফের মকদুম শা শরিফউদ্দিনের দরগা। ঘুরে নিতে পারেন ওই দরগাও।
কীভাবে যাবেন-
কলকাতা থেকে ট্রেনে চলে যান গয়া। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে নেওয়া যায় বুদ্ধগয়া, নালন্দা এবং রাজগীর। কলকাতা থেকে গয়া নিয়মিত বিমান যায়।
কখন যাবেন-
অক্টোবর থেকে মার্চ মাস যাওয়ার জন্য উপযুক্ত। ৪ঠা অক্টোবর থেকে ২৬শে অক্টোবরের মধ্যে রাজগীর নৃত্য উৎসব চলে। ইচ্ছা করলে তখনও যেতে পারেন।