Tourism: দীঘা-পুরী আর নয়, মন ভালো রাখতে ঘুরে আসুন দার্জিলিংয়ের ছোট্ট গ্রাম থেকে
বাঙালি ভ্রমণ পিপাসুজাতি, বাঙালি বেড়াতে যাবে না এমন হতেই পারে না কিন্তু সব সময় দিঘা, পুরী যেতে কি আর ভালো লাগে, আর যেতে হবে না দিঘা, পুরী। এবার একটু সময় বার করে ঘুরে আসতে পারেন দার্জিলিংয়ের অপেক্ষায় ডেস্টিনেশন শ্রীখোলা থেকে। সাধারণ এই পর্যটনস্থলে একবার বেড়াতে গেলে মন ভালো হয়ে যাবে, আর যখন বেড়াতে যাবেন, তখন অবশ্যই একটা ক্যামেরা নিয়ে যেতে ভুলবেন না, কারণ আপনার এই অসাধারণ জায়গাটি যদি মনের মনি কোঠায় নাই রইল, তাহলে আর বেড়াতে গিয়ে লাভ কি?
এখানে গেলে একটা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, সেটা হল এখানে কোনরকম ইন্টারনেট নেই মোবাইলে নেটওয়ার্ক নেই, ইলেকট্রিসিটি নেই, তবে যেহেতু জায়গাটি বেশ ঠান্ডা তাই ইলেকট্রিসিটির খুব একটা প্রয়োজন হবে না, বাকি জিনিসগুলো নিয়ে অসুবিধা হতে পারে। যদি দুই একদিন একটু এগুলো থেকে আলাদা করে নিজেকে রাখতে পারেন, তাহলে দেখবেন এগুলো ছাড়াও একটা আলাদা পৃথিবী রয়েছে, এটা কিন্তু খুব একটা খারাপ নয়।
এখানে গেলে বাড়তি পাওনা হতে পারে আর চমরি গাইয়ের মাংস, এইসব কম্বিনেশনের খাওয়া দাওয়া কোনদিন খেয়েছেন? অনেকেই হয়তো না বলবেন, এখানে গিয়ে চমরি গাইয়ের মাংস কিন্তু টেস্ট করে আসতে পারেন খেতে মন্দ লাগবে না, যারা এদিক ওদিক গিয়ে অন্যরকম খাবার খেতে পছন্দ করেন বা সেখানকার আঞ্চলিক খাবার পছন্দ করেন, তাদের জন্য জায়গাটি কিন্তু বেশ ভালো।
কাছে, পিঠে আছে সান্দাকফু এবং ফালুট। ইচ্ছা করলে সেখানে গিয়ে ট্রেকিং করে আসতে পারেন, এছাড়া এখান থেকে দার্জিলিং খুব দূরে নয়, তাই ঘুরে আসতে পারেন জায়গাটি থেকে। একান্ত যদি মনে হয় এখানে থাকতে অসুবিধা হচ্ছে তাহলে মোটামুটি ছয় ঘন্টা পার করলেই কাছেই আছে দার্জিলিং। অনেকগুলি দেখার জায়গা লিস্ট বলে দেওয়া হল যেখানে ইচ্ছে থাকতে পারেন।
এখানে গেলে দেখতে পাবেন শ্রীখোলা নদী। এছাড়া তার মাথার উপরে দাঁড়িয়ে আছে ২০০ বছরের ঝুলন্ত ব্রিজ যা দেখতে বেশ ভালো লাগবে। সবুজে ঘেরা এই জায়গাটি একেবারে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, কংক্রিট জঙ্গল থেকে যদি দু-একদিনের ছুটি নিয়ে একটুখানি মুক্ত বাতাস গ্রহণ করতে চায়, তাহলে শ্রীখোলা, আপনার জন্য দুহাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে।
গ্রামের জনবসতি হাতে গোনা। এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন তিমবুরে। ছোট ছোট কাঠের বাড়ি রয়েছে এছাড়া শ্রীখোলা। নদী যেখান দিয়ে বয়ে চলেছে তার পথেই পড়বে তিনবারে তাই কাছে পেতে এই জায়গাটি ও ঘুরে আসতে পারেন মোটামুটি ৬৫৫০ ফুট উচ্চতায় জায়গাটি বেশ নিশ্চুপ।
দেরি না করে চটপট দেখে ফেলুন কিভাবে যাবেন এই জায়গাটিতে –
গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে আসতে পারেন শিলিগুড়ি এবং দার্জিলিং তারপর রিম্বিক পর্যন্ত গাড়ি মিলতে পারে, যদিও সংখ্যায় খুবই কম এছাড়াও এখানে বাড়তি ভাড়া দিলে সরাসরি শ্রীখোলা পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারেন। রিম্বিক থেকে মাত্র ১৫ মিনিট সময় লাগবে।
শ্রীখোলা নদীর উপরে লজ আছে আগে থেকে অবশ্যই বুক করে রাখতে হবে, এছাড়াও হোটেল রয়েছে তাছাড়া যদি শিলিগুড়ি বা দার্জিলিং এ থাকতে চান সেক্ষেত্রে সেখানে তো প্রচুর হোটেল এবং লজ পেয়ে যাবেন।
কীভাবে যাবেন?
গাড়ি ভাড়া নিয়ে যাওয়া যায় শিলিগুড়ি, দার্জিলিং থেকে। এমনিতে রিম্বিক পর্যন্ত গাড়ি মেলে রুটের শেয়ার ট্যাক্সি। যদিও সংখ্যায় কম। তবে বাড়তি ভাড়া দিয়ে সরাসরি শ্রীখোলায় যাওয়া যায়। দার্জিলিং থেকে যাত্রাপথ ৫ থেকে ৬ ঘন্টা। রিম্বিক থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে। সকাল ৭ টায় দার্জিলিং বাসস্ট্যান্ড থেকে রিম্বিক যাওয়ার বাস ছাড়ে।