Tourism: দীঘা-পুরি আর নয়, দুদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন ছবির মতো সুন্দর এই গ্রাম থেকে
মাঝে মাঝে পয়সা জমিয়ে বেড়াতে গেলে মন ভালো হয়ে যায়। মন ভালো করার জন্য আমরা কত কিছুই না করে থাকি কিন্তু বিশ্বাস করুন, প্রতিদিনের ক্লান্তময় জীবন থেকে একটুখানি সময় বেছে নিয়ে যদি একটু ঘুরে আসতে পারেন। তাহলে দেখবেন মন কত ভালো হয়ে গেছে নিমেষের মধ্যে। তবে অনেক সময় ছুটি ছাটা ঠিকঠাক মতন পাওয়া যায় না অনেক দিনের ছুটি না পেলে বেড়াতে যাওয়ার মজাটাই যেন হয় না, কিন্তু বিশ্বাস করুন আমাদের আশেপাশে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে আপনি শুক্রবার গিয়ে রবিবারের মধ্যে ফিরে আসতে পারেন অর্থাৎ সপ্তাহের শেষ দিনগুলো খুব একটা খারাপ কাটবে না।
কলকাতা এসপ্ল্যানেড থেকে দূরপাল্লার বাস পাওয়া যায় এখানে যাওয়ার জন্য এছাড়াও ট্রেনে করে যেতে পারে বা যদি কেউ ঝড়ের বাসে যান সেখানে একটি আপনি কলকাতা থেকে 4-5 ঘন্টার গাড়িতে সহজেই পৌঁছাতে পারেন। রুটটি হবে- কলকাতা-কোলাঘাট-খড়গপুর ক্রসিং-লোধাসুলি-বহরাগোড়া-জামসোলা-বোম্বে চৌকি-বাংরিপোসি ।
আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামটি রয়েছে বুড়িবালাম নদীর পাড়ে তার চারপাশে রয়েছে পাহাড় জঙ্গল ছড়া মানে এখানে গেলে একসঙ্গে আপনি অনেক কিছু দেখতে পারবেন শীতের রোদ গায়ে মেখে এইখানের মেট্রোপথে ঘুরে বেড়ানোর মজাটাই আলাদা। বাংরিপোসিতে চারপাশ জুড়ে রয়েছে একাধিক দর্শনীয় স্থান, সবটাই অবশ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চারিদিকে। অসংখ্য পরিযায়ী পাখির আনাগোনা দেখা যায়, এছাড়াও রযেছে বাহ্মণীকুণ্ড, সুলাইপাত জলপ্রপাত।
বাংরিপোসির অন্যতম আকর্ষন বুড়িবালাম নদীর পাড়। যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির স্বাধীনতার ইতিহাস, এই বুড়িবালামের পাড়েই শহিদ হয়েছিলেন বাংলার বীর বিপ্লবী বাঘাযতীন। ১৯১৫ সালে ৯ সেপ্টেম্বর বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন এই বিপ্লবী। তারমধ্যে ছিলেন শহিদ বাঘাযতীনও।
বাংরিপোসির আরেকটি দর্শনীয় স্থান ব্রহ্মণীকুণ্ড। বুড়িবালাম নদী পেরিয়ে কিছুটা গিয়ে ব্রাহ্মণী কুণ্ড যেতে। যাওয়ার পথে আদিবাসী গ্রাম দেখবেন। বাংরিপোসি থেকে ব্রাহ্মণী কুণ্ডের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। গাড়ি করেই যেতে হয় সেখানেই রয়েছে অসাধারণ জলপ্রপাত। সেখান থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে আছে নাদাম জলাধারের। তার পাশেই রয়েছে সিমলিপাল জঙ্গল। ব্রাহ্মণী কুণ্ড পেরিয়ে যেতে পারেন সুলাইপাত। ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড সীমান্তে রয়েছে এই সুলাইপাত জলপ্রপাত। চারপাশে রয়েছে অসংখ্য আদিবাসী গ্রাম।