Offbeat Destination: অল্প ঠান্ডায় ঘুরে আসতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের এই তিনটি অসাধারণ জায়গা থেকে
গরমকালে চারিদিকে সূর্যের তাপের জন্য বাইরে বেরোনোটা সত্যি খুব বিভীষিকা হয়ে যায়। একটু গরমটা কমতেই তখন মনে হয় মনের একটুখানি ক্লান্তি মেটাতে ব্যাগ গুছিয়ে পৌঁছে যাই অনেক দূরে। সদ্য বিয়ে করেছেন? হাতে খুব একটা ছুটি পাননি কাছাকাছি ঘুরে আসতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের এই তিনটি জায়গা থেকে।
১) মুকুটমনিপুর-
হালকা শীতে ঘুরে আসতে পারেন মুকুটমণিপুর থেকে। বঙ্গের রানী বলা হয় বাঁকুড়ার একেবারে দক্ষিণে কংসাবতী ও কুমারী নদী যেখানে মিলেছে ঠিক সেইখানেই অবস্থিত মুকুটমনি জলাধার। এছাড়াও গেলে দেখতে পাবেন কংসাবতী বাঁধ। জলাধারের পাড় ধরে হেঁটে অথবা গাড়িতে করে ঘুরে আসতে পারেন পরেশনাথের পাহাড়েও। এছাড়া হাতে যদি একটু সময় থাকে তাহলে মুকুটমণিপুর থেকে নৌকায় করে চলে যেতে পারেন বনপুকুরিয়া হরিণ পার্কে।
কিভাবে যাবেন মুকুটমণিপুর -হাওড়া থেকে পুরুলিয়া গ্রামে যে কোন ট্রেনে উঠে বাঁকুড়া স্টেশনে নামতে হবে। তারপর সেখান থেকে গাড়ি করে পৌঁছে যাবেন মুকুটমণিপুর।
২) গড় পঞ্চকোট- দু-একদিনের ছুটি পেলে ঘুরে আসতে পারেন পুরুলিয়ার গড় পঞ্চকোট থেকে। গড়পঞ্চকোটের কাছাকাছি রয়েছে জয়চন্ডী পাহাড়, বরন্তি, মুরারডি লেক, কল্যানেশ্বরী মন্দির আরো কতকি। এছাড়াও লাল মাটির পথ ধরে ঘুরে দেখতে পারেন আদিগ্রাম আদিবাসী গ্রাম। প্রকৃতির মাঝে নিজেকে যদি সঁপে দিতে চান, তাহলে দু-একদিনের জন্য ঘুরেই আসতে পারেন অসাধারণ এই জায়গাটি থেকে।
কিভাবে যাবেন –
কলকাতা থেকে বাসে করে আসানসোল পৌঁছে সেখানে প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারেন গড় পঞ্চকোট। এছাড়াও ট্রেনে করে যাওয়ার সময় বরাকর আদ্রা স্টেশনে নেমেও গাড়ি ভাড়া করে চরচ চলতে পৌঁছে যেতে পারেন গড় পঞ্চকোটে।
৩) তিনচুলে – তিনচুলে একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম যা দার্জিলিং থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে। নামটি এসছে তিন কথা মানে ‘থেকে’ এবং চুলে মানে ‘ওভেন’ থেকে এসেছে। এই জায়গাটি ক্ষেত্রে বলা হয় কারণ তিন পাহাড়ের মাথা এই জায়গাটিকে ঘিরে আছে আর এই পর্বতের মাথাগুলো ওভেন এর মত দেখতে লাগে।
কিভাবে যাবেন – দার্জিলিং থেকে সহজেই পৌঁছে যেতে পারেন অসাধারণ এই জায়গাটিতে, তাই আর দেরি না করে চটপট ব্যাগ গুছিয়ে চলে যান তিনচুলে।