Hoop Special

Tourism: দোলের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন প্রাচীন পাহাড় শুশুনিয়া থেকে

ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন পুরুলিয়ার শুশুনিয়া পাহাড় থেকে। এই পাহাড় অতি প্রাচীন পাহাড়, যারা ইতিহাস ভালবাসেন, তাদের জন্য জায়গাটি বেশ ভালো লাগবে, দোলের দু এক দিনের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন বাঁকুড়া শুশুনিয়া থেকে। পাহাড়টির মধ্যে লুকিয়ে আছে, কত না চেনা অচেনা ইতিহাস তাই এখানে বেড়াতে তো যেতেই হবে। তবে গরমকালে প্রচন্ড গরম পড়ে গরমকালে না গিয়ে এই সময় ঘুরে আসতে পারেন অসাধারণ এই জায়গাতে থেকে।

বাঁকুড়া আর পুরুলিয়ার মাঝখানে পূর্বঘাট পর্বতমালার অংশ হচ্ছে এই শুশুনিয়া পাহাড় বাঁকুড়া থেকে প্রায় 13 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছাতনা, এবার ছাতনা থেকে আরও দশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পাহাড়। পলাশ, শিমুল, শাল গাছের জঙ্গলে ঘুরতে চারিদিকে আর এই পাহাড়কে সেখানকার মানুষেরা ভাবেন এখানেই শিবের বাসস্থান।

পাশ দিয়ে এঁকে বেঁকে চলে গেছে গন্ধেশ্বরী নদী, পাহাড় তাই শুশুনিয়া বেড়াতে গেলে পাঞ্চেত পাহাড় অবশ্যই দেখে আসবেন। কাছেপিঠে, গ্রামে একটু হেঁটে আসতে পারেন, সাধারণ মানুষের সাধারণ জীবন জীবিকা দেখতে খুব একটা খারাপ লাগবে না।

আরেকটি জিনিস দেখে আসতে ভুলবেন না সেটি হলো নরসিংহ মূর্তি। নরসিংহ আকারের মূর্তি থেকে ঝরনা জল বেরিয়ে আসে, আর এই ঝরনার জল নাকি একেবারে ওষুধের মত তাই সেখানকার লোকেরাই ঝরনার জলকে ওষুধের মত বিশ্বাস করেন। লিপি অনুসারে জানা যায় এখানে রাজা চন্দ্রবর্মন তার দুর্গও তৈরি করেছিলেন, যদিও তার দুর্গের এখানে কোনরকম ধ্বংসাবশেষই দেখা যায় না।

রেলপথে হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে নামতে হবে ছাতনা স্টেশনে। তারপর বাস কিংবা অটো ধরে শুশুনিয়া যেতে হবে, সময় লাগবে সাড়ে ৩ ঘণ্টার মতো। সড়কপথে রওনা দিলে কলকাতা থেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে পাঞ্জাবি মোড়ে ঘুরতে হবে বা দিকে মেজিয়া সেতু পেরিয়ে পৌঁছবেন শুশুনিয়া পাহাড়। ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগবে।

whatsapp logo

Shreya Chatterjee

আমি শ্রেয়া চ্যাটার্জী। বর্তমানে Hoophaap-এর লেখিকা। লাইফস্টাইল এবং বিনোদনমূলক লেখা আপনাদের কাছে তুলে ধরি। অনলাইনের সুবাদে রান্নার রেসিপি, রূপচর্চা, কুকিং টিপস, বেড়ানোর জায়গার সন্ধান এগুলো যেমন জানা প্রয়োজন, ঠিক তেমনি মনোরঞ্জনের জন্য শর্টফিল্ম, সিরিজ এগুলোরও সমান গুরুত্ব। সমস্ত খবরকেই লেখার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করি। অনেক ধন্যবাদ সকলক