Tourism: দুদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন সবুজে ঘেরা এই সমুদ্র সৈকত থেকে, মন ভালো হতে বাধ্য
দীঘা পুরি তো অনেক বেড়াতে গেলেন এবার যদি একটু অন্যরকম সমুদ্র দেখতে চান তাহলে ঘুরে আসতে পারেন তাজপুর। তাজপুরের জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে, তাজপুর কিন্তু আগে খুব স্বল্প শ্রুত ছিল। তাজপুর এখন বর্তমানে জায়গাটিকে নতুন করে পর্যটন স্থল হিসেবে মানুষের কাছে উপস্থিত করা হয়েছে। দিঘা, পুরী আশেপাশের যদি কোলাহল থেকে একটু বাঁচতে চান তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত ডেসটিনিশন তাজপুর।
সামনে নীল সমুদ্রের পিছনে ঝাউবন আর সারি সারি নৌকাদের মাঝে আপনি যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন সামনে বালিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে আপনি সামনের দিকে সমুদ্র দিকে তাকালে মনে হবে যেন সমস্ত মানসিক সমস্যা, চিন্তা ভাবনাকে আপনি চুটকিতে সরিয়ে ফেলতে পারছেন। মন্দারবনি আর শংকরপুরের সৈকতের মাঝে অবস্থিত তাজপুর যদিও বাঙালি মন এখনো প্রথম কথাতেই দীঘা বেড়াতে যাওয়ার কথা বলেন, কিন্তু দীঘাও যদি বেড়াতে যান, তাহলে দীঘা থেকে কিছুটা দুরে একবার দেখেই আসতে পারেন তাজপুর।
কলকাতা থেকে তাজপুরের দূরত্ব মাত্র ১৮৭ কিলোমিটার, আপনি যদি গাড়ি নিয়ে যান, তাহলে যেতে সময় লাগবে প্রায় চার ঘন্টা। যদি ট্রেনে যেতে চান, তাহলে আপনাকে নামতে হবে রামনগর স্টেশনে, রামনগর স্টেশন থেকে মাত্র আধ ঘন্টা পরেই আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন, অসাধারণ এই সমুদ্রতটে।
ভোজন রসিক বাঙ্গালীদের জন্য অসাধারণ ডেস্টিনেশন হতেই পারে তাজপুর মোটামুটি ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০০ টাকার মধ্যেই আপনি পেয়ে যাবেন, হোটেলর সাথে পেয়ে যাবেন কাঁকড়া থেকে শুরু করে চিংড়ির নানান ধরনের সিফুড।
শুধুমাত্র তাজপুরে গিয়ে বসে না থেকে বিকেলবেলা ঘুরে আসতে পারেন তালসারি, মন্দারবনি, ওল্ড দীঘা, নিউ দীঘা, প্রত্যেকটি জায়গাতেই কিন্তু দেখার অনেক জায়গা আছে। এছাড়াও ঘুরে আসতে পারেন সাইনসিটি, ওইখানে গিয়ে আপনি দেখতে পারবেন কত নতুন নতুন জিনিস, আর সাথে যদি বাচ্চাদের নিয়ে যান, তাহলে তো কোথায় নেই, তারাও কিন্তু এনজয় করতে পারবে।
ইচ্ছা করলে শংকরপুরের মোহনায় গিয়ে মাছ ধরা দেখে আসতে পারেন, বিশাল মাছের বাজার রয়েছে ইচ্ছা করলে সেখান থেকে দুই একটা মাছ কিনেও নিতে পারেন, তাই আর দেরি না করে, এরপর তোলপি তলপা গুটিয়ে ঘুরে আসুন তাজপুরের উদ্দেশ্যে।