Tourism: দু তিন দিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন মিনি কাশ্মীর থেকে, মন ভালো হতে বাধ্য
কাশ্মীর বলতেই চোখের সামনে ভাসে বরফাবৃত সাদা বড় বড় পাহাড়, কিন্তু আপনি কি জানেন মাত্র দু-তিন দিনের ছুটিতে খুব কম টাকা খরচ করে বাড়ির পাশে থেকে ঘুরে আসতে পারে। অসাধারণ এই জায়গাটিতে যেতে গেলে আপনাকে কিন্তু খুব বেশি দিনের জন্য ব্যাগপত্র গোছাতে হবে না, উইকেন্ডে পুরো ঘুরে ফেলতে পারেন মিনি কাশ্মীর। কোথায় আছে মিনি কাশ্মীর জানেন কি অনেকেই হয়তো ইতিমধ্যে ঘুরে ফেলেছেন, কিন্তু যারা ঘুরে বেড়ান ঘুরতে পারেননি তাদের জন্য রইল আজকের অসাধারণ টেস্টিনের উড়িষ্যার দারুন বাড়ি।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত অসাধারণ এই জায়গাটি সবচেয়ে ভালো লাগে বর্ষার সময় যেতে, কিন্তু এত সুন্দর জায়গা আপনি যেকোনো সময় যেতে পারেন। উড়িষ্যার অবস্থিত অসাধারণ এই জায়গাটি যেন একেবারে স্বর্গরাজ্য, আপনি যদি এডভেঞ্চার প্রিয় হন, আর বেড়াতে যেতে ভালোবাসেন তাহলে তো অবশ্যই আপনার পরের ডেসটিনেশন হতেই হবে উড়িষ্যার দারিংবাড়ি।
পাইন গাছ আর কফি গাছে ঘেরা অসাধারণ এই জায়গাটিতে যেন মেঘ কুয়াশা খেলা করে বেড়ায়। এখানে আছে লুডু জলপ্রপাত, দারিংবাড়ি জলপ্রপাত, মরুবান্দা জলপ্রপাত, পুতুদি জলপ্রপাত দারুন ঘুরে দেখে আসবেন। বেশিরভাগ জলপ্রপাত এর মধ্যে রয়েছে ঘন অরণ্য সুতরাং এখানে বেড়াতে গেলে অনেক কিছু দেখতে পারবেন।
উড়িষ্যার এই মিনি কাশ্মীরে গেলে শুধুমাত্র যে জলপ্রপাত দেখতে পাবেন, তাই নয় এখানে রয়েছে দুলুরি নদী। আইন বনের ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে কূল কূল শব্দে অবিরাম বয়ে চলেছে, এই নদীতে বর্ষায় যেন এর রূপ একেবারে অন্যরকম ফুলে দামাল হয়ে যায় দুলুরি। আশেপাশের পাখির কলকাকুলিতে একেবারে ভরে ওঠে। এখানে রয়েছে দর্শনীয় স্থান লাভারস পয়েন্ট, সাইলেন্ট ভ্যালি, হিল ভিউ পার্ক।
যারা পাখি ভালোবাসেন, পরিবেশ ভালোবাসেন তাদের জন্য ভীষণ সুন্দর জায়গায় এটি। তাই যাওয়ার সময় ক্যামেরা নিয়ে যেতে একেবারে ভুলবেন না যেন, দু তিন দিনের মিনি কাশ্মীর একেবারে চিরদিনের জন্য ক্যামেরাবন্দি করে রাখবেন নিজের মনের মনিকোঠায়।
এতো সুন্দর জায়গায় কিভাবে যাবেন একবার ও ভেবেছেন?
বিজু পট্টনায়ক বিমানবন্দর থেকে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় এখানে। বিমানবন্দর থেকে দূরত্ব ২৯০ কিলোমিটার। আর যদি ট্রেনে করে যেতে চান, তাহলে আপনাকে নামতে হবে ব্রহ্মপুর রেলস্টেশনে, সেখানে গাড়ি ভাড়া করে সহজেই এই জায়গায় পৌঁছে যেতে পারেন। ব্রহ্মপুর থেকে জায়গার দূরত্ব প্রায় ১৩০ কিলোমিটার, রাস্তাটি গাড়ি করে যেতে মন্দ লাগবে না। থাকার জন্য রয়েছে প্রচুর হোটেল রেস্তোরাঁ।