BollywoodHoop Plus

Arijit Singh: জিয়াগঞ্জে অত্যাধুনিক হাসপাতাল গড়তে উদ্যোগী অরিজিৎ, গায়ককে কুর্নিশ জানালেন সকলে

মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে মুম্বইয়ের যাত্রা অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)-এর পক্ষে সহজ ছিল না। অরিজিৎ মুম্বইয়ের মাটিতে পা রাখেন ‘ফেম গুরুকুল’ রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে। কিন্তু এই শো জিততে না পারলেও লড়াই ছাড়েননি তিনি। অবশেষে বলিউডের অন্যতম সঙ্গীত পরিচালক ও গায়কের সম্মান অর্জন করতে পেরেছেন তিনি। তবে পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উন্নতি কল্পেও তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অরিজিৎ। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের উন্নতি সাধন করছেন তিনি। ইতিমধ্যেই জিয়াগঞ্জের একটি নার্সিং কলেজে অরিজিৎ শুরু করেছেন স্থানীয় ছেলেমেয়েদের জন্য স্পোকেন ইংলিশের ক্লাস। এছাড়াও জিয়াগঞ্জের স্বাস্থ্য প্রকল্পের কথাও ভাবছেন অরিজিৎ। তিনি চান জঙ্গিপুর এলাকায় একটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল তৈরি করতে। সোমবার মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘির ধুমরাপাহাড়ের প্রশাসনিক সভা থেকে এই কথা জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

মমতা বলেন, জঙ্গিপুরে হাসপাতাল রয়েছে। সারা বিশ্বের গর্ব মুর্শিদাবাদের ছেলে গায়ক অরিজিৎ সিং তাঁকে বলেছেন, তিনি জঙ্গিপুরে একটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল তৈরি করতে চান। এদিন মমতা আশ্বাস দিয়েছেন, অরিজিৎ-এর হাসপাতাল তৈরির কাজে তিনি যথাসাধ্য সাহায্য করবেন। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে রয়েছে লন্ডন মিশনারি হাসপাতাল। কিন্তু অত্যাধুনিক পরিষেবা সেখানে নেই। গত বছর মে মাসে অরিজিৎ-এর মা করোনায় আক্রান্ত হলে তাঁকে প্রথমে সেখানেই ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হওয়ার কারণে পুনরায় তাঁকে স্থানান্তরিত করে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষ রক্ষা হয়নি। প্রয়াত হয়েছিলেন অরিজিৎ-এর মা।

সেই সময় থেকেই অরিজিৎ চেয়েছিলেন জিয়াগঞ্জের আধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবা। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি সেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। নিজের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ধৃতি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে লন্ডন মিশনারি হাসপাতাল ও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্য দশটি হাই ফ্লো ন্যাজাল অক্সিজেন মেশিন পাঠান অরিজিৎ। এছাড়াও তিনি চান লন্ডন মিশনারি হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত করতে।

এর আগেও লন্ডন মিশনারি হাসপাতালকে অত্যাধুনিক করে তুলতে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে ধৃতি ফাউন্ডেশনের তরফে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্প নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের একাধিক বার বৈঠক হয়েছে।

Related Articles