দীর্ঘ রোগভোগের পর গত বছর না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন কিংবদন্তী দিলীপ কুমার (Dilip Kumar)। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁর অর্ধাঙ্গিনী সায়রা বানু (Saira Banu) যেন অন্তরালে চলে গিয়েছেন। এই সম্ভাবনার আঁচ পাওয়া গিয়েছিল গত বছরেই। হিন্দুজা হাসপাতালের চিকিৎসকরা দিলীপ কুমারের মৃত্যুর খবর সায়রা বানুকে জানাতেই তিনি বলেছিলেন, তাঁর বেঁচে থাকার কারণ চলে গেল। দিলীপ কুমারের জনাজার সময় অশ্রুসজল চোখে অংশগ্রহণ করেছিলেন সায়রা বানু।
কিন্তু এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই সায়রা বানু অসুস্থ হয়ে পড়েন। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এলেও সায়রা বানু নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। মুমতাজ (Mumtaz), ধর্মেন্দ্র (Dharmendra), শত্রুঘ্ন সিনহা (Shtrughan Sinha) সায়রাবানুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাঁরা বেশ কয়েকবার সায়রার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। মুমতাজ জানিয়েছেন, তিনি সায়রার পালি হিলের বাংলোতে গেলেও তাঁর সাথে দেখা করতে পারেননি। দিলীপ কুমারের মৃত্যুর পর সায়রা নিজেকে যেন খোলসে আবৃত করে ফেলেছেন। বারবার তাঁর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও লাভ হয়নি।
View this post on Instagram
মুমতাজ শেষবার যখন পালি হিলের বাংলোতে গিয়েছিলেন, তখন দিলীপ কুমার বেঁচে ছিলেন। মুমতাজ, সায়রার মমতাময় রূপের প্রশংসা করে বলেছেন, সেবার সায়রা মুমতাজের জন্য কেক ও কুকিজ বানিয়েছিলেন। উদ্বিগ্ন ধর্মেন্দ্রও। বারবার ফোন করেও সায়রাবানুর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি তিনি। ঈশ্বরের কাছে শুধু প্রার্থনা করেছেন, সায়রা যেন ভালো থাকেন। শত্রুঘ্ন সিনহা জানেন, তাঁরা সর্বকালের শ্রেষ্ঠ অভিনেতাকে হারিয়েছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনিও চিন্তিত সায়রার জন্য। শত্রুঘ্ন চান, সায়রা আবারও আগের মতো ছন্দে ফিরে আসুন। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুন। সায়রাকে তাঁর মানসিক কষ্ট থেকে বার করে আনতে চান সকলে।
1966 সালে সায়রা বানু ও দিলীপ কুমারের বিয়ে হয়েছিল। দিলীপ কুমারের তুলনায় বয়সে প্রায় বাইশ বছরের ছোট ছিলেন সায়রা। কিন্তু তাঁরা ছিলেন বন্ধুর মতো। দিলীপ কুমারের মৃত্যুর আগে অবধি সায়রাই সবকিছু দেখাশোনা করতেন। অসমবয়সী ভালোবাসার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন ছিলেন দিলীপ কুমার ও সায়রা বানু।
View this post on Instagram