নামমাত্র কমল দাম, যোগানে এখনো ঘাটতি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশায় আলু ক্রেতারা
আলুর দামে (Potato Price) চোখ সর্ষেফুল দেখার জোগাড় আমজনতার। একে তো দাম আগুন, তার উপর বাজারে যোগান কম হওয়ায় মহা ফ্যাসাদে পড়েছে মানুষ। শনিবার অবশ্য রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে একটু হলেও দাম কমেছে আলুর। তবুও এখনো অনেক জায়গাতেই ৩৫ টাকা কেজি বা তার বেশি দরে পাওয়া যাচ্ছে আলু। তবে যোগান আগের থেকে বেড়েছে বাজারে।
হাওড়ার বাজারে শনিবার সকালে জ্যোতি আলু বিক্রি হয়েছে ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। যদিও চন্দ্রমুখী আলুর দামে এখনো কোনো পতন হয়নি। বাজারে চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট চলাকালীন যে দাম ছিল এখনো তার থেকে বিশেষ ফারাক নেই। হাওড়ার পাশাপাশি কলকাতার বিভিন্ন বাজারেও আলুর দাম রয়েছে একই।
পশ্চিম বর্ধমানে আসানসোলের বেশ কিছু বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা কেজি দরে। তবে পাড়ার ভেতরে বিভিন্ন দোকানে আলুর দাম কেজি প্রতি ৩৮ টাকার নীচে নামছে না বলে উঠছে অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন বাজারেও শনিবার ৩২ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আলু। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরে চন্দ্রমুখী আলু পাওয়াই যাচ্ছে না। জ্যোতি আলুর দাম আগের থেকে কমে পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরে শনিবার আলুর দাম ছিল ৩৫ টাকা কেজি।
বাঁকুড়ায় অবশ্য শনিবার ৩০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হয়েছে আলু। বেড়েছে যোগানও। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার খুচরো বাজারেও শনিবার জ্যোতি আলুর দাম আগের থেকে কমেছে কেজি প্রতি ছয় থেকে দশ টাকা। তবে বাজারে যোগান এখনো কম রয়েছে। বুধবার উঠেছে আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার হিমঘর থেকে আলু প্যাকিং করে এসেছে বাজারে। আরো কিছুটা সময় পর আলুর দাম স্বাভাবিক হওয়ার আশা দেখছে ব্যবসায়ীরা।