Income Tax: আর করতে হবে না আইটিআর ফাইল, এই ফর্ম জমা দিলেই মিলবে বাম্পার ছাড়
চলতি বছরের ৩১ শে জুলাই ছিল আয়কর রিটার্ন ফাইল করার শেষ তারিখ। তবে যারা এখনো এই কাজটি করেননি তাদের ক্ষেত্রে কাজটি করার সুযোগ রয়েছে আগামজ ৩১ শে ডিসেম্বর অবধি। নির্ধারিত জরিমানা দিয়ে বিলম্বিত আয়কর জমার এই শেষ তারিখের আগে সেটি করে ফেলতে হবে। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষ অবধি এই জরিমানা নেওয়া হত না। তবে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ থেকে এই জরিমানা চালু করেছে কেন্দ্র। সেই সময় ৩১ মার্চ অবধি এই বিলম্বিত আয়কর দাখিল করা যেত। তবে ২০২১ সালের বাজেটে এই নিয়মে সংশোধন করে বিলম্বিত আয়কর জমার সময় তিনমাস কমিয়ে দেওয়া হয়।
এক্ষেত্রে যদি আপনিও এমনটা করবেন ভাবছেন, তাহলে আপনাকে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা দরকার। তার কারণ হল এই ডেডলাইন হল শুধুমাত্র বিলম্বিত আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্যই দেওয়া হয়েছে। আয়কর আইনের 234-F ধারায় এই বিষয়টি উল্লিখিত রয়েছে। এই উপধারা অনুযায়ী, এমন করদাতা, যার বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার বেশি, তিনি যদি এই শেষ তারিখের পরে আয়কর রিটার্ন ফাইল করেন তবে তাকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। তবে যাদের বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার কম, তাদের থেকে জরিমানা ১ হাজার টাকা নেওয়া হবে।
কিন্তু এখন মনে রাখা উচিত যে আয়কর আইনে এমন কিছু বিশেষ ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে আয়কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়। অর্থাৎ, রোজগার সত্ত্বেও অনেককে আয়কর রিটার্ন ফাইল না করলেও চলবে। এবার আপনিও যদি এই ক্যাটাগরির মধ্যে এসে থাকেন, তাহলে এই খবরটি আপনার জন্য সুখবর। কারণ এমনটা হলে আর তড়িঘড়ি কাগজপত্র জোগাড় করে আইটিআর ফাইল করতে হবেনা। তবে এই সুবিধা কিন্তু সবাই পাবেন না। তাই দেখে নিন যে কাদের জন্য আয়কর রিটার্নে এই ছাড় পাওয়া যায়।
আয়কর আইন অনুযায়ী, ৭৫ বছর বা তার বেশি বয়সী করদাতা এই ছাড় পাবেন। তবে তার জন্য তাকে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে একটি ডিক্লারেশন পত্র জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে ব্যাঙ্কের 12-BBA ফর্মটি পূরণ করে সেটি ব্যাঙ্কে জমা দিতে হবে। কিন্তু কি থাকে এই ফর্মে? জানা গেছে, এই ফর্মে পেনশন, ফিক্সড ডিপোজিট সহ যেকোনো ধরনের বিনিয়োগের সুদের আয়ের বিবরণ লিখে দিতে হবে। আর এই ফর্ম ভেরিফিকেশনের পরেই মিলবে আয়কর ছাড়।