Income Tax Deduction: আয়কর ছাড় নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, করযোগ্যতার সীমা বাড়ানো হল ৫০ হাজার টাকা
গত মাসেই শেষ হয়েছে নিবন্ধিত আয়কর রিটার্ন ফাইলের সময়সীমা। আর আয়কর জমার সঙ্গে আয়কর কর্তনের বিষয়টি সামনে এসে। এক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন শব্দটি আয়ের সেই অংশকে বোঝায় যা ট্যাক্সের অধীন নয়, অর্থাৎ যেটি আপনার কর কমাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এখন আয়করদাতারা নতুন কর ব্যবস্থা থেকে আইটিআর ফাইল করার পরেও ট্যাক্স ফাইল করার ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুবিধা পেতে পারেন।
যারা ৩১ শে জুলাই ২০২৩ তারিখের মধ্যে আইটিআর ফাইল করেছেন, তাদের কোনও অতিরিক্ত ফি দিতে হবে না। এখন যদি একজন করদাতা ১ লা আগস্ট, ২০২৩ থেকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন, তাহলে তিনি ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। তবে এর জন্য সেই ব্যক্তিকে বিলম্ব ফি’ও দিতে হতে পারে। অন্যদিকে, যারা ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ এর মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন, তাদের আয় অনুসারে বিলম্ব ফি দিতে হবে। তবে তাদের আয় করযোগ্য না হলে তাদের বিলম্ব ফি দিতে হবে না। অন্যদিকে, করদাতার আয় যদি করযোগ্য কিন্তু ৫ লক্ষের কম হয়, তাহলে তাদের লেট ফি দিতে হবে ১,০০০ টাকা। এ ছাড়া মানুষের আয় যদি বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার বেশি হয়, তাহলে তাদের বিলম্ব ফি হিসেবে দিতে হবে ৫,০০০ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের বাজেট পেশ করার সময়, মোদি সরকার অনেকগুলি নতুন ঘোষণাও করেছিল। এই সময়ে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন করদাতাদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন সম্পর্কিত একটি বড় ঘোষণাও করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, আগে নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থায় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুবিধা পাওয়া যায়নি, কিন্তু ২০২৩ সালের বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছিল যে এখন নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থা থেকেও স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুবিধা পাওয়া যাবে। অর্থাৎ, এখন আয়করদাতারা নতুন কর ব্যবস্থা থেকে আইটিআর ফাইল করার পরেও ট্যাক্স ফাইল করার ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুবিধা পেতে পারেন।
২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের জন্য নতুন করের ব্যবস্থা বেছে নেওয়া একজন ব্যক্তিকে কোনো কর দিতে হবে না, যদি একটি আর্থিক বছরে তার করযোগ্য আয় ৭ লক্ষ টাকার বেশি না হয়। এছাড়াও, ৭.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করযোগ্য আয়ের একজন ব্যক্তি ৫০ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুবিধা দাবি করতে পারেন। এটি করযোগ্য আয় ৭ লক্ষ টাকা কমিয়ে দেবে এবং এইভাবে সেই করদাতাকে কোন আয়কর দিতে হবেনা।