Summer Holiday: দেড় মাস পর অবশেষে খুলছে রাজ্যের স্কুলগুলি, কবে থেকে শুরু পঠনপাঠন?
প্রায় দেড় মাস গরমের ছুটি (Summer Holiday) থাকার পর অবশেষে খুলতে চলেছে রাজ্যের সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত অর্থাৎ গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড স্কুলগুলি (School)। সেই এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছিল স্কুলগুলিতে। প্রচণ্ড গরমের জন্য এ বছরে ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল শিক্ষা দফতরের তরফে। এক মাসেরও বেশি সময় ছুটি কাটানোর পরে অবশেষে খুলছে স্কুলগুলি। তবে পঠন পাঠন কি এখনই শুরু হবে? কী রয়েছে সরকারি নির্দেশে?
কবে থেকে খুলছে স্কুল?
প্রতি বছর সাধারণত মে মাসেই গরমের ছুটি দেওয়া হয় রাজ্যের স্কুলগুলিতে। কিন্তু এ বছর ছিল ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে অনেকটাই এগিয়ে আনা হয়েছিল গরমের ছুটি। প্রচণ্ড গরমে ছাত্রছাত্রীরা যাতে অসুস্থ না হয়ে পড়ে সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে। তাই প্রথমে ৬ জুন থেকে স্কুলগুলিতে ছুটি পড়ার কথা থাকলেও স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘোষণা করা হয়, ২২ এপ্রিল থেকেই ছুটি পড়ছে স্কুলগুলিতে। খুলবে ৩ জুন। মে মাসে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়, এই দিন থেকেই স্কুলগুলিতে শুরু হয়ে যাবে স্বাভাবিক ক্লাস। কিন্তু পরে ফের বদল আনা হয় সিদ্ধান্তে।
কবে থেকে স্কুলে যাবে পড়ুয়ারা?
স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্কুলগুলি খাতায় কলমে ৩ জুন থেকেই খুলে যাচ্ছে বটে, তবে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসবে আগামী ১০ জুন। ৯ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে তাদের। কিন্তু এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী? আসলে ১ জুন ছিল লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলিকে পরিণত করা হয়েছিল ভোটকেন্দ্রে। ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এমতাবস্থায় ভোট মিটে গেলেও স্কুলগুলিকে একটু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করে ক্লাস শুরু করা সম্ভব নয়। সাফসাফাইয়ের সময়ের জন্যই ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস শুরু হবে কিছুদিন দেরিতে। যদিও শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্কুলে যোগ দিতে হবে ৩ তারিখ থেকেই।
কী বলছেন শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা?
গরমের ছুটি পড়ার পরে কয়েকদিন টানা ঝড় বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমেছিল অনেকটাই। সে সময় স্কুলে ফের পঠনপাঠন শুরু করার দাবি জানিয়েছিল বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। মাধ্যমিক এবং স্তরের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষতির অভিযোগ করে স্কুল খোলার দাবি জানানো হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করেনি স্কুল শিক্ষা দফতর।