GossipHoop Plus

সৌন্দর্যের দিক থেকে ঐশ্বর্য রাইও হবেন ফেল, চিনে নিন অক্ষয় কুমারের শ্যালিকাকে

‘মুসু মুসু হাসি’ গানটি শতক পেরিয়েও এখনও সমানভাবে সুপারহিট। ফিল্মের নাম ছিল ‘পেয়ার মে কভি কভি’। এই ফিল্মের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন রিঙ্কি খান্না (Rinke Khanna)। সেটা ছিল নব্বইয়ের দশক। রিঙ্কি যখন বলিউডে আসেন, তখন তাঁর পরিচয় শুধুই ছিল রাজেশ খান্না (Rajesh Khanna) ও ডিম্পল কাপাডিয়া (Dimple Kapadia) -র কনিষ্ঠ কন্যা ও টুইঙ্কল খান্না (Twinkle Khanna)-র বোন। রিঙ্কির দক্ষ অভিনয় সত্ত্বেও তিনি শুধুই স্টারকিড হয়ে রয়ে গিয়েছেন। ফলে কেরিয়ারের অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছে।

প্রথম ফিল্মেই শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য পুরস্কার পেয়েছিলেন রিঙ্কি। কিন্তু এত সফলতার পরও তিনি বলিউডে পার্শ্ব চরিত্র হয়েই রয়ে গিয়েছেন। 2000 সালে ‘জিস দেশ মে গঙ্গা রহতা হ্যায়’ ফিল্মে দ্বিতীয় নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রিঙ্কি। 2004 সাল অবধি লাগাতার ফিল্মে অভিনয় করেছেন রিঙ্কি। অভিনয় করেছেন তামিল ফিল্মেও। কিন্তু পাননি ‘পেয়ার মে কভি কভি’-র মতো সফলতা। কিন্তু তারপরেও শুধুমাত্র রাজেশ ও ডিম্পলের মেয়ের পরিচয়ে রয়ে গিয়েছেন তিনি। এমনকি বর্তমানে তাঁর পরিচয় অক্ষয়কুমার (Akshay Kumar)-এর শ‍্যালিকা হিসাবে। অথচ রিঙ্কির অভিনয়ে ছিল ডিম্পলের ছাপ। তিনি যখন বলিউডে আসেন, তাঁর অভিনয় দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন রাজেশ ও ডিম্পলের যোগ্য উত্তরসূরীর আবির্ভাব ঘটল। তাঁর দিদি টুইঙ্কল কোনোদিনই অভিনয়কে সিরিয়াসলি নেননি। বিয়ের পর অভিনয় ছেড়ে তিনি পুরোদস্তুর লেখিকা।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Percept EMC (@percept_emc)

বহু অভিমান বুকে করে 2003 সালের 8 ই ফেব্রুয়ারি সমীর শরণ (Samir Saran) -কে বিয়ে করে লন্ডনে পাড়ি দেন রিঙ্কি। বিদায় জানান বলিউডকে। 2004 সালে মুক্তি পায় রিঙ্কি অভিনীত শেষ ফিল্ম ‘চামেলি’। সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ নন রিঙ্কি। তবে তাঁর কন্যা নায়োমিকা (Naomi’s Saran)-এর সাথে ছবি প্রকাশ্যে আসার পর আবারও নতুন করে খবরের শিরোনাম তৈরি করেছেন তিনি। নেটিজেনদের একাংশের মতে, নায়োমিকার চেহারায় তাঁর মায়ের তুলনায় মাসি টুইঙ্কলের ছাপ সুস্পষ্ট।

ডিম্পলের মোমবাতি তৈরির ব্যবসা থেকেও দূরে সরে গিয়েছেন রিঙ্কি। পরিবার, বলিউড সবকিছু ছেড়ে অন্তরালকেই বেছে নিয়েছেন তিনি।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by FilmyStar (@filmystar.in)