কোথায় করবেন RD, ব্যাঙ্ক নাকি পোস্ট অফিস? দেখে নিন কে দিচ্ছে বেশি সুদ
পোস্ট অফিসে টাকা জমাতে চান? বাড়ির সামনে যদি পোস্ট অফিস থাকে তাহলে এই সুবিধা নিতেই পারেন। একটা সময় বেশিরভাগ মানুষ ব্যাঙ্কের পাশাপাশি পোস্ট অফিসে মাসিক টাকা জমাতেন এবং একটা ভালো অঙ্কের সুদ পেতেন। সেই পুরোনো মহল এখনও চালু আছে। এখনও আপনি চাইলে পোস্ট অফিসে টাকা জমাতে পারেন এবং ভালো সুদ পেতে পারেন। আজকের প্রতিবেদনে একটি দুর্দান্ত Post office scheme নিয়ে কথা বলবো যা আপনার কাজে আসবে। চলুন জানি বিস্তারিত।
পোস্ট অফিস হল একটি নিরাপদ জায়গা টাকা রাখার ক্ষেত্রে। তাই এখানে আপনি রেকারিং ডিপোজিট একাউন্টে টাকা মাসে মাসে জমিয়ে সবথেকে বেশি সুদ পেতে পারেন। ধরা যাক, আপনি টিউশন করেন।হয়তো এই কাজ করে আপনি মাসে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। এখন, আপনি যদি ৯ হাজার হাতে রেখে মাত্র ১০০০ টাকা জমা করেন পোস্ট অফিসে তাহলে একটা দারুন কিছু করতে পারেন। প্রথমেই, খুলে ফেলতে পারেন একটি রেকারিং ডিপোজিট। প্রতিমাসে যদি এভাবেই আপনি জমা করতে থাকেন তাহলে আপনার কাছে একটা বড় তহবিল জমা হবে। অন্তত, ১২ হাজার টাকা জমিয়ে ফেলতে পারবেন এক বছরে। শুধু ১০০০ নয়, আপনি চাইলে ৩০০০,৪০০০,৫০০০ পর্যন্ত টাকা জমাতে পারেন। কম করে ৫ বছরের জন্য এই রেকারিং ডিপোজিট চালিয়ে যেতে হবে। সময়ের আগে ডিপোজিট এর এই স্কিম বন্ধ করে দিলে আপনাকে সামান্য পেনাল্টি দিতে হবে। এছাড়া, প্রকল্পের মেয়াদ পাঁচ বছরের বেশি করতে চাইলে আবেদন করতে হবে পোস্ট অফিসে।
এই ব্যাপারে আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে RD বা রেকারিং ডিপোজিট যদি করতেই হয় তাহলে ব্যাঙ্কে করা ভালো। এই প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পারবো পোস্ট অফিসে RD খুললে কি কি সুবিধা পাওয়া যেতে পারে।
পোস্ট অফিস রিকারিং ডিপোজিট স্কিমের সুদের হার ৬.৫ শতাংশ। ত্রৈমাসিকের জন্য দেওয়া সুদের হার ৬.৫ শতাংশ। রিকারিং ডিপোজিট স্কিম, খোলার তারিখ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারেন। এর তিন মাসের জন্য সুদের হার হল ৬.৫%। ব্যাঙ্কের দিক থেকে, ধরে নিন আপনি SBI এর কোনো শাখায় RD করলেন, এঁরা ৫.১০ শতাংশ সুদ প্রদান করবে ১ থেকে ২ বছরের কম মেয়াদের জন্য। ৩ থেকে ৫ বছরের মেয়াদের জন্য সুদের হার ৫.২০ শতাংশ, এবং ৫ থেকে দীর্ঘমেয়াদি জন্য সুদের হার ৫.৫০ শতাংশ। নিশ্চয়, বুঝতে পারছেন পোস্ট অফিসে দীর্ঘমেয়াদি RD খুলতে পারলে কতটা লাভবান হবেন আপনি, বিচার ও সিদ্ধান্ত অবশ্যই আপনার। তবে, টাকা লেনদেন ও জমা করার ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য নিকটবর্তী শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত হবে।