বলিউডের পাওয়ার কাপলদের মধ্যে অন্যতম হলেন অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan) ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan)। অভিষেক বচ্চন পরিবারের সন্তান হলেও ঐশ্বর্যর খ্যাতি তুলনামূলক ভাবে বেশি। ঐশ্বর্য ও অভিষেকের বিয়ের মূল কারণ ছিল তাঁদের ব্র্যান্ড ভ্যালু। বিয়ের পর একাধিক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট একসঙ্গে করলেও অভিষেকের পাশে ঐশ্বর্য রাই নজর টেনেছেন। ফলে আম জনতার মনে ধারণা রয়েছে, ঐশ্বর্যর সম্পত্তির পরিমাণ বেশি। এছাড়াও ঐশ্বর্যর হাতে প্রচুর ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট রয়েছে। বরাবর অভিষেকের তুলনায় তাঁর হাতে ফিল্মের সংখ্যাও বেশি। ফলে অভিষেককে মাঝে মাঝেই শুনতে হয়, তিনি স্ত্রীর উপর নির্ভরশীল।
এবার আসা যাক সম্পত্তির প্রশ্নে। অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে, ঐশ্বর্য ও অভিষেকের মধ্যে কার রোজগার বেশি অথবা কে বেশি ধনী! প্রকৃতপক্ষে পারিবারিক দিক থেকে অভিষেক 200 কোটি টাকার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী। এছাড়াও অভিষেক ‘প্রো কবাড্ডি’-র ‘জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থারস’ -এর মালিক। ‘আইএসএল’ টিম ‘চেন্নাইয়ান এফ সি’-র আংশিক মালিকানাও অভিষেকের। কয়েকটি সমীক্ষা বলছে, বছরে অভিষেকের আয় কুড়ি কোটি টাকার কাছাকাছি।
অপরদিকে রয়েছে ঐশ্বর্য। ঐশ্বর্য বিয়ের আগে থেকেই মডেলিং ও ফিল্মে অভিনয়ের সূত্রে 258 কোটি টাকার সম্পত্তির অধিকারী। এছাড়াও মুম্বইয়ের বান্দ্রায় তাঁর একটি বাংলো রয়েছে এবং দুবাইয়ের স্যাংচুয়ারি ফলস-এ রয়েছে একটি ভিলা। এছাড়াও মার্সিডিজ কোম্পানির একটি দামি গাড়ি ও বেন্টলে সিজিটি-র মালকিন ঐশ্বর্য। তবে এই মুহূর্তে ঐশ্বর্য বছরে ফিল্মে অভিনয় করে 15 কোটি টাকা আয় করলেও ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্টের ফলে তাঁর আয় অভিষেকের থেকে বেশি। ঐশ্বর্য নিজের ট্যাক্স রিটার্ন ও গয়নার কোনো হিসাব দেননি। কারণ তাঁর ট্যাক্স সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে ‘পানামা পেপারস’। তবে অভিষেক ও ঐশ্বর্যর মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে 500 কোটি টাকার উপর।