শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore) বলিউডের আইকন। তিনি কিংবদন্তী। ঠাকুরবাড়ির মেয়ে হয়ে বিয়ে করেছিলেন পতৌদির নবাব পরিবারে। শর্মিলার মাধ্যমেই প্রথমবার ক্রিকেটের সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছিল বলিউড। টাইগার পতৌদি (Tiger Patudi) ছিলেন কিংবদন্তী ক্রিকেটার। বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা শর্মিলাকে বিয়ে করলেও রক্ষণশীল ছিলেন না তিনি। স্বামী হিসাবে শর্মিলার প্রত্যেক সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন টাইগার। বিয়ের পরও অভিনয় চালিয়ে গিয়েছিলেন শর্মিলা। কিন্তু একসময় প্রতিটি মেয়ের মতো মা হতে চেয়েছিলেন তিনি। টাইগার স্ত্রীর সিদ্ধান্তে বরাবরের মতো হস্তক্ষেপ করেননি। ক্রমে এক পুত্র ও দুই কন্যার জন্ম দিয়েছিলেন শর্মিলা। তবে সেই সময় স্টারকিডদের নিয়ে ছিল না মাতামাতি। সোশ্যাল মিডিয়া নামে কোনো মাধ্যমের অস্তিত্ব ছিল না। ফলে স্টারকিডরা আর পাঁচজন সাধারণ বাচ্চার মতোই শৈশব কাটাতেন।
তবে সেই সময়ের বিভিন্ন স্মৃতি ইদানিং ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। শর্মিলা-পুত্র সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)-এর শৈশবের ছবিও একই ভাবে ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। এছাড়াও কিছু ছবি প্রায়ই শেয়ার করে থাকেন তাঁর বোন সাবা পতৌদি (Saba Pataudi)। সেই ছবিগুলিও অদেখা এবং পতৌদি পরিবারের নিজস্ব সম্পত্তি ও স্মৃতি। ভাইরাল হওয়া ছবিতে লাল শাড়ি পরে চেয়ারে বসে আছেন শর্মিলা। তাঁর কোলে একরত্তি সইফ। শিশুপুত্রের মাথার চুল আঁচড়াতে ব্যস্ত সইফের মা। সন্তানদের বড় করে তোলার জন্য কাজের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছিলেন শর্মিলা।
তিনি চাননি, তাঁর সন্তানরা মা-বাবাকে ছাড়া গভর্নেসের কাছে বড় হোক। নিজের মতো করে তিন সন্তানকে পালন করতে চেয়েছিলেন শর্মিলা। তবে কিছু ফিল্মের কমিটমেন্ট আগে থেকেই ছিল। একটি সাক্ষাৎকারে শর্মিলা জানিয়েছিলেন, তিনি যখন সকালে শুটিংয়ে বেরোতেন, তখন ঘুমন্ত সন্তানদের মুখ দেখে যেতেন। কিন্তু যখন ফিরতেন, তখন তাঁর সন্তানরা রাতের খাওয়া সেরে আবারও ঘুমিয়ে পড়েছে। ফলে সন্তানদের সাথে শর্মিলার যোগাযোগের মাধ্যম তৈরির তাগিদ বাড়ছিল। এই কারণে কাজ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। পতৌদি পরিবারের ঘরোয়া পরিবেশে বড় হয়ে উঠেছেন সইফ, সাবা ও সোহা (Soha Ali Khan Pataudi)।
সইফ ও সোহাও তাঁদের সন্তানদের যথেষ্ট সময় দিয়ে থাকেন। সাবা বিয়ে করেননি। তবে তাঁর চার ভাইপো-ভাইঝি ও এক বোনঝি সাবার অত্যন্ত আদরের। প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের সাথে ছবি পোস্ট করেন সাবা।
View this post on Instagram