বৌমাদের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ ছেলেরা, এই সিরিজে বাধ্য হয়ে ময়দানে নামলেন শ্বশুর
একবিংশ শতকে পৌঁছেও বিয়ের আগে অবধি মেয়েদের ভার্জিনিটি বা কুমারীত্ব রক্ষার দিকে সমাজের কড়া নজর থাকে। কখনও মেয়েদের কেউ জিজ্ঞাসা করে না তাঁদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা। একসময় বিভিন্ন বনেদি পরিবার অথবা রাজপরিবারে মেয়েদের কুমারীত্ব পরীক্ষা করা হত নানা উপায়ে। কিন্তু অনেক সময় যেসব মহিলারা দৌড়ান বা ঘোড়সওয়ারি করেন, তাঁদের সতীচ্ছদ বা হাইমেন পর্দা ছিঁড়ে যায়। তবে তার অর্থ মহিলাদের কুমারীত্ব নষ্ট হওয়া নয়। অথচ কোনোকালেই পুরুষকে জিজ্ঞাসা করা হয় না, তার কুমারত্ব নষ্ট হয়েছে কিনা! কিন্তু সিনেপ্রাইম অ্যাপের অ্যাডাল্ট ওয়েব সিরিজ ‘ভার্জিন বহুস’-এর কাহিনী বিবাহ পরবর্তী জীবন নিয়ে।
চলতি বছরের 12 ই জানুয়ারি সিনেপ্রাইমের ইউটিউব চ্যানেলে লঞ্চ হয়েছে ‘ভার্জিন বহুস’-এর অফিশিয়াল ট্রেলার। ওয়েব সিরিজটি স্ট্রিম হয়েছে 13 ই জানুয়ারি। ‘ভার্জিন বহুস’-এর ট্রেলার দেখে বোঝা যায়, কাহিনীটি আসলে উত্তরাধিকার পাওয়ার লড়াই। কাহিনীর কেন্দ্রে রয়েছে একটি পরিবার। পরিবারের কর্তা দাদু হতে চান। তাঁর তিন ছেলের বহুদিন বিয়ে হলেও এখনও অবধি বংশধরের মুখ দেখেননি ওই ব্যক্তি। তিনি ছেলেদের হুমকি দিয়ে বলেন, যদি তারা তাঁকে নাতি-নাতনি না দিতে পারে, তাহলে নিজের সমস্ত সম্পত্তি দান করে দেবেন তিনি। পরিবারের বড় ছেলে সিট্টু ও তার বৌ বাবলি হানিমুন থেকে এসে খুশি নয়। কিন্তু তারা একে অপরকে ভালোবাসে। মেজ ছেলে বান্টু ও তার বৌ চিত্রা একে অপরের ঘনিষ্ঠ হয়।
কিন্তু তারা অসন্তুষ্ট মা-বাবাকে নিয়ে। বান্টু ও চিত্রার পছন্দ না তাদের জীবনে পরিবারের কর্তা-গিন্নির নাক গলানো। কারণ তাতে তাদের গোপনীয়তা নষ্ট হয়। ওদিকে ছোট ছেলে বিট্টু ও তার বৌ নন্দিনী রহস্য ফাঁসের ভয় পায়। তবে বিট্টু ঠিক করে, যদি সব কিছু জানাজানি হয়ে যায়, তাহলে সে নিজের ঘাড়ে সব দোষ নিয়ে নেবে। সম্পত্তি বাঁচাতে বাবলি শ্বশুর-শাশুড়ি তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার মিথ্যা সুখবর দেয়। কিন্তু তিন পুত্রবধূর মেডিক্যাল টেস্ট হয়। ক্লিনিকে ফোন করে শ্বশুর জানতে পারেন, তাঁর তিন পুত্রবধূ ভার্জিন। এই কারণে তারা মা হতে পারছে না।
চমকে ওঠেন শ্বশুর-শাশুড়ি। সত্যিই কি তাঁরা বংশধরের মুখ দেখতে পাবেন না? জানতে হলে চোখ রাখতে হবে সিনেপ্রাইম অ্যাপে।