Lifestyle: মেয়েদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছেন বয়স্ক পুরুষেরা, কারণটা জানা আছে!
আজকাল আপনি খেয়াল করে দেখলে দেখবেন, কম বয়সী মেয়েরা তাদের থেকে বেশি বয়সের পুরুষদের বিয়ে করতে চাইছে। ভাবছেন, সেই পুরোনো দিন ফিরছে? বর্তমান সময়ে, মেয়েরা যেমন সমবয়সী পুরুষদের বিয়ের ক্ষেত্রে ‘না’ বলছেন, তেমনই, ছেলেরা আজকাল তাদের থেকে বেশি বয়সী মেয়েদের পছন্দ করছে বিয়ের জন্য। এর কারণ কী? যারা অসমবয়সী প্রেমিক প্রেমিকা খুঁজছেন বা বিয়ে করছেন তাদের মত হলো – ভালোবাসা মানে না জাত-ধর্ম-বয়স-দেশ। কিন্তু, আদপে কি এই কথাটা সত্যি? নাকি বয়স্ক পুরুষ-নারী বিয়ে করার পিছনে অন্য কারণ আছে। চলুন একটু বিস্তারিত আলোচনা করি।
১) সমবয়সীদের মধ্যে বিয়ে হলে বিচ্ছেদের প্রবণতা বাড়ে। এমন বহু সমবয়সী কাপল আছে যারা বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছে। কারণ, মতের মিল হয় না। মতের অমিল হলেই দ্বন্দ্ব, অশান্তি, এমনকি হাতাহাতি পর্যন্ত শুরু হয়ে যায়। যদি নারী পুরুষ উভয়ের মধ্যে পুরুষের বয়স অনেকটা বেশী হয় তাহলে সেই পুরুষ অনেকটা পরিণত মস্তিষ্কের হয়। সে বুঝতে পারে স্ত্রীর মনের কথা। ধৈর্য শক্তি বাড়ে, ফলে অশান্তি হওয়ার প্রবণতা অনেকটা কমে যায়।
২) সমবয়সী বিয়েতে সমস্যা হল, মেয়েরা ৪০ হতে হতেই বয়স্ক হয়ে যায়, সেই তুলনায় পুরুষের যৌবন তখনও অধরা থাকে। পুরুষ চাইলেই প্রজনন ক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারেন । ফলে আজকের দিনে মেয়েরা চাইছে বয়স্ক পুরুষ তাদের জীবন সঙ্গী হোক। এতে করে সুন্দর ও সুস্থ যৌন জীবন বহাল থাকবে।
৩) স্ত্রীর বয়স বেশি হলেও দুজনের মধ্যে একটা অসমবয়সী বন্ধুত্ব গড়ে তোলে যা তৈরি করে মায়া, বন্ধনের। মেয়েরা বয়স্ক হলে যেমন অশান্তি, মতবিরোধের সম্ভবনা কম থাকে, তেমন কোনো পুরুষ যদি একটু বেশি বড় হয়ে থাকে স্ত্রীর থেকে সেক্ষেত্রেও দুজনের মধ্যেকার ওয়েভ লেন্থ ঠিকঠাক থাকে। এঁরা একে অপরকে বুঝতে পারে, জানার চেষ্টা করে, এবং ইগো ব্যাপারটা একেবারেই গায়েব হয়ে যায়। তাছাড়া, অর্থনৈতিক অসুবিধা তেমন থাকে না, কারণ চাকরি হোক বা ব্যবসা, পর্যাপ্ত সময় পেলে পুরুষরা বা মেয়েরা সঠিক ভাবে দাড়িয়ে যেতে পারে।