Lifestyle: শুভকাজের আগে দই-চিনি খাওয়া ভালো কেন! জেনে নিন আসল কারণটি
নানা সময়ে আমাদের মেনে চলতে হয় এমন কিছু নিয়ম, যার পিছনে আমরা খুঁজে পাইনা কোনো যুক্তি। কিন্তু বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের পরামর্শে মেনেও চলি সেইসব নিয়মকানুন। কিন্তু নিয়ম তো তৈরি হয় যুক্তি থেকেই! অনেক সময় নানা রীতিনীতির মাঝে থাকে কিছু বৈজ্ঞানিক যুক্তি, অনেক ক্ষেত্রে থাকে কিছু সামাজিক যুক্তি, আবার অনেক ক্ষেত্রে দুই যুক্তিই কাজ করে। এমনই একটি নিয়ম হল, শুভকাজে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে দই-চিনি খেয়ে বেরোনোর নিয়ম। কমবেশি সকলকেই মেনে চলতে হয় এই নিয়ম। কিন্তু জানেন কি, এই নিয়মের পিছনেও রয়েছে দুটি এমন যুক্তি, যা আমাদের অজানা। কি সেই দুই যুক্তি? দেখে নিন।
পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে কিংবা কোনো কাজ শুরুর মুহূর্তে বাড়িতে আমাদের সামনে এনে ধরা হয় একবাটি দই, তাতে মেশানো থাকে চিনি। বলা হয় এই বিশেষ খাবার খেয়ে বেরোলে সাফল্য পদচুম্বন করে। কিন্তু কেন এই দই-চিনি খাওয়ার নিয়ম আছে, তা সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন। এর নেপথ্যে যেমন রয়েছে একটি বৈজ্ঞানিক যুক্তি, তেমনই রয়েছে একটি শাস্ত্রগত যুক্তি। একনজরে দেখে নিন দুটি যুক্তি-
(১) বৈজ্ঞানিক যুক্তি: দই এবং চিনি- দুটিই শর্করা জাতীয় খাবার। অর্থাৎ দুটির মধ্যেই রয়েছে বিপুল পরিমাণ গ্লুকোজ। যা খেলে পরবর্তী কয়েকঘন্টা আমাদের শরীরে ‘এনার্জি’ থাকে ভরপুর। যার ফলে শরীর ক্লান্ত হয়না তাড়াতাড়ি। এছাড়াও, দই হল সহজপাচ্য একটি খাবার। ফলে পরীক্ষার আগে দই খেলে গ্যাস বা অম্বলের মতো শারীরিক সমস্যা আসেনা। এছাড়াও দই শরীর ও মনকে শান্ত রাখে। ফলে শুভকাজ মন দিয়ে করতে সমর্থ হন সেই ব্যক্তি। পেটের সমস্যাও দূর করে এই দই-চিনি।
(২) শাস্ত্রগত যুক্তি: দই এবং চিনি- দুটির রংই হল সাদা। আর শুভ্র সাদা রং হল শুক্রের প্রিয় রং। আর শুক্র সহায় হলে সাফল্য আসে বলে মনে করেন জ্যোতিষীরা। এছাড়াও সাদা রং হল শান্তির প্রতীক। তাই মানসিক শান্তি বজায় থাকে এই বিশেষ খাবার খেলে। সেইসব কারণেই শুভকাজের আগে দই-চিনি খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকেই।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্য ও অনুমানের ভিত্তিতে লেখা। বাস্তবে সব মুহূর্তের প্রেক্ষাপট এক হয়না। ফলে প্রভাব বিরূপ ঘটতেও পারে।