‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকে ইন্দ্রাণী হালদার (Indrani haldar)-কে দেখা যায় সাংসারিক রাজনীতির শিকার হয়েও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে। ব্যক্তিগত জীবনেও তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরে যোগ দিলেও রাজনীতি থেকে অনেকটাই দূরে থাকতে পছন্দ করেন ইন্দ্রাণী।
চলতি বছরে যখন একঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দেখা গিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরে যোগ দিয়ে ভোটে দাঁড়াতে, তখন ইন্দ্রাণী কিন্তু ব্যস্ত থেকেছেন ‘শ্রীময়ী’ নিয়ে। তবে এর আগে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-র সঙ্গে তাঁকে দেখা গেছে। কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার (Rajiv kumar)-এর বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে মমতা যখন এসপ্ল্যানেড-এর মেট্রো চ্যানেলে ধর্ণায় বসেছিলেন, তখন সেই ধর্ণা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ইন্দ্রাণীও।
কিন্তু তারপরেও চলতি বছরে ভোটের প্রচারে দেখা যায়নি ইন্দ্রাণীকে। ইন্দ্রাণী জানিয়েছেন, শুধুমাত্র কাজের চাপের জন্য রাজনীতির আঙিনায় ইদানিং দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। এমনকি অভিনয়ের কারণেই লোকসভা বা বিধানসভায় প্রার্থী হতে চাননি ইন্দ্রাণী। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সাধারণ সদস্য হয়েই থাকতে চেয়েছেন। ইন্দ্রাণী জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দেন, কে কোন পদে থাকবেন। এর জন্য দলের মধ্যে কোনো আলাদা ফর্ম ফিলাপ করতে হয় না।
এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘শ্রীময়ী’। লাগাতার ভালো টিআরপি ধরে রেখেছে শ্রীময়ী। ‘শ্রীময়ী’র চিত্রনাট্যকার লীনা গাঙ্গুলী (Leena Ganguly)এই সিরিয়াল নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। ‘শ্রীময়ী’ এক গৃহবধূর নিজের মতো করে বাঁচতে চাওয়ার গল্প। দর্শকরা এখন ইন্দ্রাণীর রাজনৈতিক স্টেটাস নিয়ে মোটেই ভাবিত নন। বরং তাঁরা শ্রীময়ীর সঙ্গে রোহিত সেনের সম্পর্ক কোনদিকে মোড় নেয়, তা নিয়ে চিন্তিত।