Hoop Life

Winter Special Hair Care: চুল পড়ার সমস্যা চিরতরে দূর করুন সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে

মাত্র কয়েকটি টিপস ফলো করলেই আপনার মাথা ভরে উঠবে কুচকুচে কালো চুলে। জেনে নিন সহজ কতগুলি টিপস। আমলকির সঙ্গে মিশিয়ে নিন অসাধারণ এই জিনিসটি। রিঠা, আমলকির সঙ্গে নানান উপাদান মিশিয়ে আপনি চুলের যত্ন করতে পারেন। এর জন্য খুব বেশি টাকা আপনার খরচ হবে না, তাই আর দেরি না করে চটপট দেখে ফেলুন, কিভাবে কম খরচায় চুলের যত্ন করবেন। Hoophaap এর পাতায় দেখে নিন অসাধারণ টিপস –

১) চুল খুব ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন শ্যাম্পু করতে হবে, শ্যাম্পু করার সময় মিশিয়ে নিতে পারেন, অ্যালোভেরা জেল অথবা মেথি ভেজানো জল, আমলকির পেস্ট, রিঠা ভেজানো জলের সঙ্গে সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন। তাহলে শ্যাম্পুর ক্ষতিকারক দিক অনেকখানি চলে যাবে।

২) সপ্তাহে অন্তত দুদিন প্রোটিন হেয়ার প্যাক লাগাতে হবে। অবশ্যই রাখতে পারেন টক দই এবং কাঁচা ডিম, আমলকির পেস্ট, রিঠা ভেজানো জল । খুব ভালো করে মাথায় লাগিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন, এগুলি চুলের খাবার, এগুলি না দিলে চুল সুন্দর থাকবে না।

৩) চুল সকাল এবং সন্ধ্যেবেলা এক দুবার করে আঁচড়াবেন, কারণ চুল যত আঁচড়াবেন, চুলের মধ্যে ব্লাড সার্কুলেশন বেড়ে যাবে। যার ফলে চুল প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ পাবেন, যার ফলে চুল অনেক সুস্থ স্বাভাবিক সতেজ হয়ে উঠবে।

৪) চুল খুব ভালো রাখতে খেতে হবে সবুজ শাকসবজি। এছাড়া গাজর, বিট ইত্যাদি লাল জাতীয় সবজিও খেতে পারেন। প্রতিদিন একটা করে আমলকি খেতে ভুলবেন না যেন। আমলকি চুল ভালো করতে সাহায্য করে ভেতর থেকে। এগুলো চুলের জন্য ভীষণ ভালো। প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে হবে। যদি শারীরিক অন্য কোন সমস্যা না থাকে এইভাবে যদি উপযুক্ত পরিমাণে পুষ্টি শরীরকে দেওয়া যায়, তাহলে শুধু চুল না তার সাথে সাথে ত্বকও ভালো থাকবেন।

৫) চুলে ভালো করে তেল ম্যাসাজ করতে হবে। বর্তমান প্রজন্ম চুলে তেল মাখতে ভুলে গেছে, তারা ভাবে তেল মাখলে এই বুঝি নিজেকে দেখতে খারাপ হয়ে যাবে। বাইরে বেরোনোর সময় তেল নাই বা দিলেন, বাড়িতে যে কটা দিন থাকেন, মাথায় হেয়ার অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করুন, সেক্ষেত্রে নারকেল তেল এবং সরষের তেল ব্যবহার করাই ভালো। নারকেল তেলের সঙ্গে আমলকি আর রিঠা কে খুব ভালো করে ফুটিয়ে তেল বানিয়ে সেই তেল মাখায় মাসাজ করতে পারেন।

সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।