কিনতে হবেনা দামি কিট, বাড়িতেই কয়েকটি সহজ উপকরণে টেস্ট করুন নিজের প্রেগনেন্সি
আপনি মা হয়েছেন কিনা বোঝার জন্য এবার আর দোকান থেকে কোনরকম টেস্ট কিট কিনে আনতে হবেনা। বাড়িতেই কয়েকটি সহজ উপকরণ দিয়ে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি গর্ভবতী হয়েছেন কিনা। এর জন্য রান্নাঘরে গিয়ে কয়েকটি সহজ উপকরণ জোগাড় করতে পারলেই আপনি সমস্ত কিছু পরীক্ষা বাড়িতে বসেই কোনরকম কিট ছাড়াই করতে পারবেন।
প্রতিটি মহিলার জীবনে এই শুভ মুহূর্ত আসে। শুভ মুহূর্ত কখনো কখনো কারোর জীবনে অনেক খারাপ সময় বয়ে নিয়ে আসতে পারে, হয়তো কোন একটা সময়ের মুহূর্তের ভুল আপনাকে এই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করার সুযোগ দেয় না। অনেক সময় না চাইতেই প্রেগনেন্সি চলে আসে। তবে পৃথিবীতে একটা নতুন প্রাণকে আহবান করতে গেলে আপনাকে শারীরিক-মানসিক সবদিক থেকেই অনেক বেশী শক্তিশালী হতে হবে।
চিনির সাহায্যে সহজেই করুন প্রেগনেন্সি টেস্ট -»
গর্ভবতী কিনা তা জানার জন্য অবশ্যই আপনার সকালবেলা উঠে প্রথম মূত্র ধরে রাখতে হবে। এই প্রথম মূত্রের মধ্যে যদি এক টেবিল চামচ চিনি ফেলে দেন কিছুক্ষণ পরে যদি দেখেন চিনি দলা পাকিয়ে যাচ্ছে তাহলে রেজাল্ট পজিটিভ কিন্তু যদি দেখেন চিনি গলে যাচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে রেজাল্ট নেগেটিভ।
সঞ্চিত মূত্র দেখে প্রেগনেন্সি টেস্ট -»
সকালবেলা উঠে আপনার প্রথম মূত্র ধরে রাখার পরে যদি দেখেন তার উপরে সাদা আস্তরণ পড়েছে তাহলে রেজাল্ট পজেটিভ হতেও পারে। আর যদি দেখেন কিছুক্ষণ সময় চলে যাওয়ার পরে এটি পরিষ্কার হয়ে গেছে তাহলে রেজাল্ট নেগেটিভ।
ভিনিগার দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট -»
আপনার সকালে উঠে প্রথম ধরে রাখা মূত্রের মধ্যে ভিনিগার ঢেলে দিন। যদি দেখেন মূত্রের রং চেঞ্জ হয়ে গেছে তাহলে বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী।
টুথপেস্ট দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট -»
একটি পাত্রের মধ্যে আপনার সকালবেলা উঠে প্রথম মূত্র ধরে রাখুন, তার মধ্যে টুথপেস্ট দিয়ে দিন। টুথপেস্ট যদি রং পরিবর্তন হয়ে যায় বা টুথপেস্ট যদি ফেনার হয়ে ওঠে তাহলে আপনি গর্ভবতী।
সরষের গুঁড়ো দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট -»
সাধারণত গর্ভবতী হলে আপনার পিরিয়ড হবেনা। এই অবস্থায় গরম জলের মধ্যে বেশ খানিকটা সরষের গুঁড়ো দিয়ে যদি আপনি নিজেকে বেশ বেশ কিছুক্ষণের জন্য ডুবিয়ে রাখতে পারেন, এই রকম দু-তিনদিন করার পর যদি মাসিক শুরু হয়ে যায় তাহলে আপনি গর্ভবতী নন কিন্তু যদি মাসিক না শুরু হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনি প্রেগনেন্ট।
এই সমস্ত বিষয়ে যদি কোন ফলাফল না পান তাহলে মা হওয়ার সুখ থেকে নিজেকে বঞ্চিত না রেখে সত্বর ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।