বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম এবং রহস্যময় গুহা
সেই সুদূর প্রাচীনকাল থেকে গুহা মানুষের মধ্যে একটা রহস্যের সৃষ্টি করেছে। তবে যতই রহস্যঘন হোক, প্রাচীনকালে মানুষ কিন্তু বাসস্থান হিসাবে গুহাকেই বেছে নিয়েছিল। বর্তমানে প্রত্নতাত্ত্বিকরা, ভূতাত্ত্বিকরা, নৃতত্ত্ববিদরা গবেষণার জন্য বেছে নিয়েছেন এই সমস্ত গুহাকেই। ভিয়েতনামের কোং বিন প্রদেশের বো টাচ জেলায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় রহস্যময় গুহার অবস্থান। হো খানহ নামে এক ব্যক্তি ১৯৯১ সালে এই গুহাটি প্রথম আবিষ্কার করেন।
এই গুহাটির গভীরতা ৪৯০ ফুট। দৈর্ঘ্য ৯০০০ মিটার। একটি গুহার মধ্যে দুটি প্রবেশদ্বার দেখা যায়। ব্রিটিশ গুহা গবেষণা সংগঠনের প্রধান হাওয়ার্ড এবং ডেভ লেম্বার্ট ২০০৯ সালে এই গুহার পরিমাপ করতে শুরু করেন। গুহার মধ্যে রয়েছে সুরঙ্গপথ। যেসব পথ দিয়ে অতি সহজে ভিয়েতনামের এক প্রদেশ থেকে এবং অন্য প্রদেশে সহজেই চলে যাওয়া যায়। এটি ভিয়েতনামের জাতীয় উদ্যান ফুং না কিং ব্যাং এর পাশেই অবস্থিত। গুহাটির মধ্যে প্রায় ১৫০ টি গুহা রয়েছে। তবে অনেকেই এই গুহাটির শেষ প্রান্ত কোথায় তা খুঁজে বার করতে পারেননি। এই গুহাটি আবিষ্কারের আগে মালয়েশিয়ার ডির গুহা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় গুহা।
এই গুহাটি শুধু যে বৃহত্তম গুহা তাই নয়, এই গুহাটির রহস্যে ভরা। গবেষক দল এই গুহাটিকে বিপদজনক বলেও আখ্যা দিয়েছেন। গবেষণা করা কালীন গবেষকদল নানান রকম ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির শিকার হন। কখনো গুহার মধ্যে দেখা যায় বিষধর সাপ কিংবা কখনো বড় বড় বিষাক্ত মাকড়সা। তা ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন অপরিচিত প্রাণী এবং বৃক্ষের দল। পৃথিবীর আনাচে-কানাচে কত কিছুইনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে যা এখনো সমস্ত মানুষের কাছে অজানা। তবে এই সমস্ত গবেষকদের নিরলস চেষ্টার ফলে তাদের ইচ্ছাতে ধামাচাপা পড়ে থাকা ইতিহাস পুনরায় আবিষ্কৃত হয়েছে।