বর্তমানে ‘মন দিতে চাই’ ধারাবাহিকে সোমরাজের ভূমিকায় প্রশংসিত হচ্ছে ঋত্বিক মুখোপাধ্যায় (writwik Mukherjee)-র অভিনয়। কিন্তু তাঁর প্রথম ধারাবাহিক ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর মাধ্যমে ঋত্বিক এখনও ঘরে ঘরে পরিচিত সাত্যকি নামেই। তবে এই পরিচিতি, স্পটলাইট বহু লড়াইয়ের পর অর্জন করেছেন তিনি। কোনো ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড নেই তাঁর। আমতলার মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে ঋত্বিক বরাবর অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন।
স্কুল থেকে পাশ করার পর কলেজে কলা বিভাগে স্নাতক স্তরের ছাত্র তিনি। এর আগে বেশ কয়েকটি শর্ট মুভিতে অভিনয় করেছিলেন ঋত্বিক। এছাড়াও থিয়েটারে অভিনয় করতেন তিনি। তাতে মনের খিদে মিটলেও পেটের খিদে মিটছিল না। ফলে অভিনয় ছেড়ে কাজ খোঁজা শুরু করেছিলেন ঋত্বিক। একের পর এক চাকরি করেছেন ও ছেড়েছেন। মন বসছিল না তাঁর। একসময় স্কুল-কলেজের বাইরে লিফলেট বিলি করতেন ঋত্বিক। কিন্তু দিনের শেষে যখন কোম্পানির মালিক জিজ্ঞাসা করতেন, কত অ্যাডমিশন হল, তখন ঋত্বিকের উত্তর তাঁর কাছে যেমন গ্রহণযোগ্য ছিল না, তেমনই মালিকের আচরণ ঋত্বিককে কষ্ট দিত। ইন্ডাস্ট্রিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন ঋত্বিক।
একসময় আসে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এ অভিনয়ের সুযোগ এবং তাও নায়কের চরিত্রে। সাত্যকির চরিত্র নিখুঁত ভাবে ছোট পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন ঋত্বিক। ধীরে ধীরে দর্শকদের কাছে পাশের বাড়ির ছেলেতে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। সাত্যকি ও উর্মির জুটি এখনও অবধি দর্শকদের অত্যন্ত পছন্দের জুটি, যদিও ধারাবাহিকটি অনেকদিন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে।
‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর বিদায়ের ঘন্টা বাজার প্রায় সাথে সাথেই ‘মন দিতে চাই’-এর প্রস্তাব এসেছিল ঋত্বিকের কাছে। ছোট পর্দায় অভিনয় যথেষ্ট উপভোগ করছেন ঋত্বিক। তাঁর মতে, প্রতিটি কাজের আলাদা আলাদা ধরন থাকে। সিরিয়ালে অভিনয়েরও আলাদা পদ্ধতি রয়েছে যা ভালো লাগছে তাঁর। ঋত্বিকের প্রার্থনা, দর্শক যেন নতুন ধারাবাহিকেও তাঁকে একই রকম ভালোবাসা দেন।
View this post on Instagram