‘চিনে বাদাম’ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। ছবি মুক্তির ৫ দিন আগে থেকে নায়ক যশ দাশগুপ্ত সরে দাঁড়ান। মতের মিল না হওয়ার কারণে ছবি প্রচার থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন যশ। এরপরেই পরিচালক ক্ষুব্ধ হন। কনিষ্ঠ প্রযোজক ভেঙে যান তার নতুন ছবি মুক্তি নিয়ে।
পাশাপাশি অভিনেতা যশের মুখপাত্র প্রশ্ন রাখেন যে এনা আর শিলাদিত্য অত্যন্ত অপেশাদার। অর্থাৎ, একেবারে আনপ্রফেশনাল। ওঁদের সঙ্গে কাজ করা সম্ভবই নয়। তাছাড়া ব্ল্যাক গাই নিয়ে শিলাদিত্য যেভাবে কটাক্ষ করেছে তার কী কোনও প্রমাণ ছিল ওঁদের কাছে? শোনা যায় যে উক্ত ছবিতে একটি গানের দৃশ্যে শ্যামলা গায়ের রঙের একটি ছেলেকে নাচ করানো হয়েছিল বলে যশ ঘোর আপত্তি জানান। কিন্তু, অভিনেতা যশ এই বিষয়ে চুপ ছিলেন। এ বার মুখ খুললেন, এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিলেন ‘চিনে বাদাম’ প্রযোজক এনা সাহা ( Ena Saha) ও পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিকের (Shiladitya Moulik) বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি, যশ জানিয়েছেন যে এখনও পর্যন্ত তার নামে যা যা বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তা সর্বৈবভাবে মিথ্যা ও ভুয়ো। এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে, গোটা বিষয় নিয়ে আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন। খুব শীঘ্রই এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে। এবারে, আইনি পদক্ষেপ নিয়ে নিলেন যশ। আজ, ১০ ই জুন ছবিটি মুক্তি পায়, ঠিক এই দিনেই বোমা ফাটালেন যশ দাশগুপ্ত। এদিন, এনা সাহার ফোন কল পর্যন্ত রিসিভ করছেন না যশ এবং নুসরত কেউই। মূলত, এনার পরবর্তী ছবি ‘মাস্টারমশাই আপনি কিচ্ছু দেখেননি’র নায়ক-নায়িকার ভূমিকায় রয়েছেন এই যশ ও নুসরত। অথচ জানা যাচ্ছে এনার নম্বর ব্লক করে দিয়েছেন এই দুই অভিনেতা। তাহলে ছবির ভবিষ্যত কি?
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে অভিনেতা যশের এমন পদক্ষেপ দেখে মুখ খোলেন প্রযোজক রানা সরকার। তিনি নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘টাকা পেয়ে গিয়েছি আর কী চাই, এবার প্রোডিউসার মরুক…।’যশ দাশগুপ্তর নাম নিয়েই সরাসরি বলেন যে যশ কিংবা বাকিরা নিজেদের বিরাট নায়ক ভাবতে পারে। কিন্তু তাঁদের অভিনয় দর্শকরা দেখতে আসেন না। তা হলে তাঁদের এমন বাহানা কেন আমরা সহ্য করব? এখন দেখার জল কোনদিকে গড়ায়।