মনে যখন বসন্তের হওয়া বয় তখন সবকিছু ওলোট পালোট করে দেয়। আত্মীয় স্বজন, বন্ধুরা কে কি বললো তাতে কিস্যু আসে যায় না। মন তখন প্রজাপতির মতন ফুলে ফুলে আকৃষ্ট হয়। ঠিক সেরকমই প্রথম দিকে অপছন্দ দিয়ে প্রেম কাহিনী শুরু হয়। বর্তমান যিনি প্রেমিক তিনি তার প্রেমিকাকে একদম পছন্দ করতেন না, তার মনে হত মানুষটি বুঝি দাম্ভিক অর্থাৎ খুব অহংকার। কিন্তু, যেই একের পর এক কাজ একসঙ্গে করতে শুরু করলো তারা সব নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা উধাও। এখন দুটিতে মিলে চুটিয়ে প্রেম করছে। বুঝতেই পারছেন কাদের কথা বলা হচ্ছে। সম্প্রতি এক ইংরেজি দৈনিক মাধ্যমে নিজেদের প্রেম কাহিনী নিয়ে মুখ খুললেন যশ-নুসরত।
গত বছর কিংবা কিছু মাস আগে পর্যন্ত টলি পাড়া উত্তাল ছিল যশ নুসরতের প্রেম কাহিনী নিয়ে। নিখিলের সঙ্গে বিচ্ছেদ, বিবাদ থেকে শুরু করে যশের সন্তানের মা হওয়া – সব মিলিয়ে এক চরম কোন্দল শুরু হয়েছিল নুসরত জাহানের জীবনে। তারই অনুরাগীরা তাকে রীতিমত কটাক্ষ করতে শুরু করে সন্তান ও নিখিল প্রসঙ্গে। কিন্তু, অভিনেত্রী তো আগে অভিনেত্রী, তাই চুপচাপ সহ্য করে অবশেষে অগাস্ট মাসে সন্তানের জন্ম দেন এবং পিতৃ পরিচয় হিসেবে যশ দাশগুপ্তকে রাখেন। ব্যাস, নুসরতের সন্তানের পিতা হয়ে গেলেন অভিনেতা যশ। এখন দুজন মিলে সন্তান সামলাচ্ছেন। সবই ঠিক আছে, কিন্তু এই প্রেমের শুরু কবে? গত বছরের শুরুর দিকেও নিখিল নুসরতের অজস্র ছবি, ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খেত, এরপর,?
একটা সময় ওয়ান ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেন নুসরত ও যশ দাশগুপ্ত। তখনও দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠেনি। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে যশ বলেন,‘আমি ওকে সহকর্মী হিসাবে একদম অপছন্দ করতাম, আমার মনে হত নুসরত ভীষণ দাম্ভিক’। তাহলে এই প্রেমের জন্ম কবে? তাদেরই সাক্ষাৎকার বুঝিয়ে দিচ্ছে এস ও এস কলকাতা এই জুটির প্রেমের জন্ম দেয়। ঠিক নিখিল জৈন বলেছিলেন যে গত বছর একটি সিনেমার শ্যুটিংয়ের সময় থেকে নুসরতের হাবভাবের পরিবর্তন হয়। তাহলে কি এই সেই এস ও এস কলকাতা (SOS Kolkata)?
View this post on Instagram
নুসরতের মনে আগুন ধরে এই এস ও এস কলকাতার চক্করে। সাক্ষাৎকারে নুসরত জানান, ‘আমার বন্ধুরা পরামর্শ দিয়েছিল যশের থেকে দূরত্ব বজায় রাখবার’। ব্যাস, এরপর থেকেই সব অঙ্ক পাল্টে যায়। ঐযে মনে যখন বসন্তের ছোঁয়া লাগে তখন কারোর মাতব্বরি কানে আসে না। সেই ঘী আর আগুন মিশে তৈরি Yash-Nusrat love story.