নীল শাড়ি পরে আসামের লোকগীতি গানে দুর্দান্ত এক্সপ্রেশনে নাচলেন যুবতী, রইলো ভিডিও
আসামের গোয়ালপাড়া অঞ্চলের এর বিখ্যাত লোকগীতি মনে করি আসাম যাবো। গানটির মধ্যে অসাধারণ কথা অসাধারণ ছন্দ এবং অসাধারণ গানের সুর মানুষকে পাগল করে দেয়। কিন্তু এই গানের মধ্যে আসামের মহিলাদের ওপরে তথাকথিত শ্রমিকদের ওপর ইংরেজদের অত্যাচারের করুন কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।
১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের স্ক্রস ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দায়িত্ব নেন। প্রথম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চীনের চা উৎপাদন শুরু করে। কিন্তু সেই চা নিম্নমানের হওয়ায় পরবর্তীকালে দেশীয় চা উৎপাদন শুরু হয়। ফলে আসামে বাণিজ্যিকভাবে চা উৎপাদন করতে শুরু করে। ব্যাপকভাবে কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় শ্রমিক সংকট। একে তো চা বাগানে কাজ শ্রমসাধ্য ঝুঁকিপূর্ণ, তারপর রয়েছে বন্য জীবজন্তুদের উৎপাত।
এসমস্ত নানা কারণে স্থানীয় শ্রমিকরা চা বাগানে কাজ করতে চাইল না। তারপর বিহার, মধ্যপ্রদেশ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নানান রকম ভুলিয়ে-ভালিয়ে শ্রমিকদের নিয়ে আসা হল। তারপর তাদের উপর চলল অকথ্য অত্যাচার। এটি শুধু গান নয়, এই গানের প্রতিটি শব্দের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে বঞ্চনার ব্যথা এবং নিষ্ঠুরতা।
যাইহোক, এত গেল গানের ইতিহাস। কিন্তু এই গানের সঙ্গে অসাধারণ নৃত্য পরিবেশন করেছেন এক যুবতী। যা দেখে প্রত্যেকে অবাক হয়েছেন। ঘন নীল শাড়ি পরে আসামের লোকগীতিকে এত সুন্দর করে নাচের মাধ্যমে পরিবেশনা প্রত্যেকের চোখ জুড়িয়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি দেওয়ার সাথে সাথেই রীতিমতন ভাইরাল হয়েছে আপনারা দেখে নিন এই নাচের অংশ –