সুশান্তকে সুবিচার পাইয়ে দিতে সিবিআই তদন্ত চেয়ে গর্জে উঠলেন কঙ্গনা, ভাইরাল ভিডিও
সুশান্তের মৃত্যুর পরের দিন থেকেই মুম্বই পুলিশের তদন্তের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। মুম্বই পুলিশের আত্মহত্যার তত্ত্বকে প্রথম থেকেই মানতে নারাজ সুশান্তের পরিবার ও ভক্ত-বন্ধুরা। মুম্বই পুলিশের উপর ভরসা না রেখে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠছিল প্রথম থেকেই। তার মধ্যে গতমাসে তদন্তে মুম্বই পুলিশের সদিচ্ছা নিয়ে সরাসরি সংশয় প্রকাশ করে সুশান্তের বান্ধবী রিহা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একটি ১৬ দফার মামলা করেন সুশান্তের বাবা পাটনা থানায়। বিহার পুলিশ তদন্তে নামার পর থেকেই সুশান্তের মৃত্যু রহস্য নিয়ে জটিলতা বাড়তে থাকে। ইতিমধ্যে কেস নিয়ে মুম্বই পুলিসের উদাসীন মনোভাবের অসংখ্য প্রমাণও আসে সামনে। অন্যদিকে মুম্বই পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে তদন্ত সঠিক পথেই এগাচ্ছে বলে দাবি করা হয় মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে। অবশ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে মহারাষ্ট্র সরকারের পরোক্ষ যোগ থাকার দাবিও করা হয়।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হতে দেখা যায় বলিউডের বিতর্কিত কুইন কঙ্গোনা রানাউৎকে। নেপোটিজমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বলিউডের বহু স্টার সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত হতে হয় তাঁকে। তা সত্ত্বেও লাগাম পরানো সম্ভব হয় নি কঙ্গনার বক্তব্যে।
এবার শিবসেনার বরিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় রাউতের বক্তব্যের বিরোধিতা করে ‘টিম কঙ্গোনা রানাউত’ অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম থেকে নিজের বক্তব্য পোস্ট করেন কঙ্গনা। আসলে গত বৃহস্পতিবার সঞ্জয় রাউৎ সুশান্তের আত্মহত্যার তত্ত্বকে সমর্থন জানিয়ে বলেন– আমরা তদন্তের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিবাদেই কঙ্গোনা সুশান্তের মৃত্যু রহস্যে সিবিআই তদন্ত চেয়ে ছোট্ট একটা ভিডিওতে বলেন– আমরা সত্য জানতে চাই।
উল্লেখ্য, কিছুদিন পূর্বেই সুশান্তের বাবার দ্বিতীয় বিবাহ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন সঞ্জয় রাউৎ। তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করে সুশান্তের পরিবার। তাঁরা জানান সঞ্জয় রাউৎ নিজের বক্তব্যের সত্যতার প্রমাণ দিন অথবা ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তা না করলে পরিবারের পক্ষ থেকে মানহানির মামলা করা হবে বলেও জানানো হয়। অবশ্য নিজের বক্তব্যের সমর্থনে প্রমাণ কিংবা ক্ষমাপ্রার্থনা কোনোটাই করেন নি শিবসেনার এই প্রভাবশালী নেতা। সূত্রের খবর, রাউতের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সুশান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে।