Lifestyle: একটি রুদ্রাক্ষ জীবন পাল্টে দিতে পারে, শুধু জানতে হবে সঠিক পদ্ধতি
রুদ্রাক্ষের পুঁতি প্রাচীনকাল থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। শিব পুরাণে বলা হয়েছে,রুদ্রাক্ষ গাছটি ভগবান শিবের অশ্রু ফোঁটা দ্বারা গঠিত হয়েছিল। তাই এর একটি বৈজ্ঞানিক ভূমিকা রয়েছে আমাদের জীবনে। এটি উল্লেখ করা হয়েছে, যে রুদ্রাক্ষ বিভিন্ন রোগ নিরাময় করে এবং মন ও শরীর চাঙ্গা করতে সাহায্য করে। রুদ্রাক্ষ জীবনের সমস্ত প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করার জন্য আমাদের মনকে শক্তিশালী করে তোলে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বারবার প্রমাণিত হয়েছে, যে রুদ্রাক্ষ এর শরীরকে অনেক বেশি শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
রুদ্রাক্ষ ধারণের চৌম্বকীয় উপকারিতা – রুদ্রাক্ষ পুঁতির মধ্যে থাকা অদ্ভুত একটা চুম্বকীয় ক্ষমতা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আমাদের ত্বককে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করে না, কিন্তু এর মধ্যে রয়েছে অদ্ভুত একটা ক্ষমতা যা অকাল বার্ধক্যকে রোধ করতে সাহায্য করে।
স্নায়ুকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে – স্নায়ুতন্ত্রকে সঠিক রাখতে সাহায্য করে রুদ্রাক্ষ। যারা রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন, তাদের শরীরের মধ্যে অতিরিক্ত রাগ, দুঃখ ইত্যাদি হয় না অর্থাৎ মানসিক চাপ থেকে যদি মুক্তি পেতে চান, তাহলে অবশ্যই রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন।
প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে – প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। অনেকেই বলেন, রুদ্রাক্ষের জল পান করলে আপনি বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচতে পারবেন অর্থাৎ আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে। এটিকে বলা হয় ভিটামিন সি এর একটি অসাধারণ উৎস।
রুদ্রাক্ষ তিন প্রকার। কিছু রুদ্রাক্ষের আকার আমলকির মতো হয়। এগুলি উৎকৃষ্ট রুদ্রাক্ষ হিসাবে বিবেচিত হয়। কিছু রুদ্রাক্ষ পাথরের এর আকারের মত। তারা মাঝারি ফলাফল পায়। তৃতীয় প্রকার রুদ্রাক্ষটি কুলের বীজের আকারের সমান, এই রুদ্রাক্ষকে অল্প ফলদায়ক বলে মনে করা হয়। শ্রাবণ মাসের সোমবার রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন। এছাড়াও যে কোন সোমবার আপনি রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন। রুদ্রাক্ষ ধারণ করার জন্য কাঁচা দুধ, পঞ্চগব্য, পঞ্চমৃত বা গঙ্গাজল যুক্ত করে রুদ্রাক্ষকে শুদ্ধ করতে হবে। লাল সুতোর, সোনার বা রূপোর সুতোর মাধ্যমে রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে হয়। রুদ্রাক্ষ ধারণ করার পর প্রতি সকালে শিবের নাম জপ করুন।
Disclaimer: বাস্তুবিদদের পরামর্শ ও মতামতের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল ভিন্ন হতে পারে।