সত্তরের মাঝামাঝি থেকে নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিক অবধি টানা দুই দশকের কাছাকাছি হিন্দি দূরদর্শন হয়ে উঠেছিল সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। হিন্দি দূরদর্শনের মাধ্যমেই ভারতবর্ষ উপহার পেয়েছিল প্রথম টক শো ‘ফুল খিলে হ্যায় গুলশন গুলশন’। হঠাৎই হয়তো টক শোয়ের এই নাম শুনে মনে হতে পারে এটি ছোটদের অনুষ্ঠান। কিন্তু এই অনুষ্ঠানটি ছিল আবালবৃদ্ধবনিতার জন্য। শোয়ে আসতেন বিভিন্ন তারকা। তা সত্ত্বেও এই শোয়ের মূল আকর্ষণ ছিলেন তব্বাসুম (Tabbasum Govil),শোয়ের সঞ্চালিকা। করণ জোহর (Karan Johar)-দের মতো তারকাদের ব্যক্তিগত পরিসরে প্রবেশ করতেন না তিনি। বরং তাঁর মিষ্টি ব্যবহারে মন খুলে তারকারা শেয়ার করতেন নিজেদের সিক্রেট। 18 ই নভেম্বর একরাশ নস্টালজিয়ায় ভাসিয়ে চলে গেলেন তব্বাসুম।
View this post on Instagram
এদিন সন্ধ্যায় মুম্বইয়ে নিজের বাসভবনে ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন তব্বাসুম। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল আটাত্তর বছর। তব্বাসুমের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বলিউড। শুধু টেলিভিশন নয়, তাঁর অবাধ বিচরণ ছিল বিভিন্ন ক্ষেত্রে। এর মধ্যেই ছিল রেডিও ও বিভিন্ন ধরনের ইভেন্ট। বলিউড তারকাদের অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন তব্বাসুম। তাঁর বৈদগ্ধতা মুগ্ধ করেছিল সকলকে। সর্বকালের সেরা সঞ্চালিকা এখনও অবধি তিনিই। সঞ্চালনাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তব্বাসুম।
View this post on Instagram
প্রকৃত নাম ছিল কিরণবালা সচদেব (KiranBala Sachdeva)। 1944 সালের ব্রিটিশ শাসিত বম্বে শহরে জন্ম হয়েছিল তাঁর। 1947 সালে বেবি তব্বাসুম নামে হিন্দি ফিল্ম ‘নার্গিস’-এর মাধ্যমে অভিনয়ে ডেবিউ করেছিলেন তিনি। এরপর লাগাতার 1990 অবধি অভিনেত্রী হিসাবে কাজ করার পাশাপাশি প্রায় একুশ বছর ধরে সঞ্চালনা করেছেন ‘ফুল খিলে হ্যায় গুলশন গুলশন’। প্রযোজক ও পরিচালক হিসাবে তব্বাসুমের আত্মপ্রকাশ 1985 সালে। তৈরি করেছিলেন ‘তুম পর হাম কুরফান’ নামে একটি ফিল্ম যার মাধ্যমে বলিউড উপহার পেয়েছিল জনি লিভার (Johnny Lever)-এর মতো কমেডি অভিনেতাকে।
তব্বাসুমের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতী সিং (Bharti Singh), উর্বশী ঢোলাকিয়া (Urvashi Dholakia)-রা। আগামী 21 শে নভেম্বর সান্তাক্রুজ এলাকার লিঙ্কিং রোডস্থিত আর্য সমাজ ভবনে তব্বাসুমের স্মরণে আয়োজিত হয়েছে প্রার্থনাসভা।
View this post on Instagram