অধিকাংশ মহিলারা ইদানিং প্রাকৃতিক উপায়ে প্রসব বেছে নিচ্ছেন। তা নিয়ে কথা বলতে তাঁরা দ্বিধা বোধ করেন না। মেয়ের জন্মদিনে প্রসবের দিনটি ফিরে দেখলেন শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। দেখতে দেখতে ষোলটি বসন্ত কাটিয়ে সপ্তদশ বছরে পা দিল শ্রীলেখার কন্যা মাইয়া ওরফে ঐশী (Oishi)। বুধবার ছিল তার জন্মদিন। মেয়ের জন্মদিনে নিজের মা হওয়ার দিনটি ফিরে দেখলেন শ্রীলেখা।
শিলাদিত্য স্যান্যাল (Shiladitya Sanyal)-কে বিয়ে করেছিলেন শ্রীলেখা। তেত্রিশ বছর বয়সে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। শ্রীলেখা চেয়েছিলেন, জন্ম দেওয়ার প্রক্রিয়া অনুভব করতে। অন্তঃসত্ত্বাকালীন সময়ে তাঁর সব ধরনের পরীক্ষার রেজাল্ট ছিল স্বাভাবিক। চিকিৎসক কুশাগ্রোধী ঘোষ (Kushagradhi Ghosh)-কে শ্রীলেখা অনুরোধ করেছিলেন, প্রাকৃতিক উপায়ে যেন তাঁর প্রসব হয়। সন্তানের জন্মগ্রহণের সময় শ্রীলেখার মনে হয়েছিল, তাঁর যোনি থেকে একটা আস্ত কাঁঠাল যেন বেরিয়ে এল। কিন্তু সন্তানের জন্মের পরেই সেই তীব্র যন্ত্রণা আর অনুভব করেননি শ্রীলেখা। সেদিন শ্রীলেখা উপলব্ধি করেছিলেন, এভাবেই ঈশ্বর সকলকে প্রাণ দান করেন।
7 ই ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঐশীর জন্ম হয়। তার জন্মের মাত্র পাঁচ মিনিট পর তোলা একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে মেয়েকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শ্রীলেখা। মেয়েকে নিজের ‘ছোট মা’ সম্বোধন করে জননীর কামনা, জীবনে চলার পথে সব প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে যেন ভাল মানুষ হয়ে উঠতে পারে ঐশী। ঐশী বরাবর লাইমলাইট থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করে। বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও তাকে একসাথে বড় করে তুলেছেন শিলাদিত্য ও শ্রীলেখা। লম্বায় শ্রীলেখাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে ঐশী।
সতের বছরের জন্মদিনে মেয়েকে পছন্দের বই, ড্রেস ও লিপস্টিক উপহার দিয়েছেন শ্রীলেখা। লম্বা হয়ে গিয়েছে মেয়ে। ফলে ছোট বেড বদল করে কিনেছেন বড় খাট। ঐশীর জন্মদিনে মেয়ে ও তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা ও খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমে সময় কাটিয়েছেন শ্রীলেখা।