সাল ১৯৫০, ঘরে আলো করে এলো গৌতম জন্মালেন। কথিত আছে, অভিনেতা ছবি বিশ্বাসের বাড়ির কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো দেখেই উত্তম বাবুর ইচ্ছে হয় নিজের বাড়িতেও লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করার। তারপরই সেই বছর ভবানীপুরে গিরিশ মুখার্জ্জি রোডের চট্টোপাধ্যায় পরিবারে শুরু হল কোজাগরী লক্ষীপুজো। সেইসময় গৃহকর্ত্রী বলতে উত্তমকুমারের স্ত্রী গৌরীদেবী ছিলেন। আর গৃহলক্ষীর ছাঁচেই পূজিত হয় চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে।
কিন্তু আজ মহানায়ক বেঁচে নেই। মহানায়ক চলে যাওয়ার পরও পুজোর ধারা একই ভাবে বজায় রেখেছেন চট্টোপাধ্যায় পরিবারের নতুন প্রজন্ম। দাদুকে ভালোবেসে তাঁর নাতি-নাতনি গৌরব, নবমিতা ও মৌমিতার হাতেই এখন পুজোর নিষ্ঠা মতে পালন করেন দায়-দায়িত্ব। হয়তো আগের মতো পুজোর ঠাঁটবাট কমেছে, কিন্তু ভক্তি আর নিষ্ঠায় কোনো ঘাটতি নেই। আলপনা থেকে বিসর্জন পুজোর সব কাজেই হাত লাগান মথুরবাবু ওরফে গৌরব চ্যাটার্জি।
আজও গৌরিদেবীর আদলেই পূজিত হলেন চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে। করোনা মরশুমে মেটেনি কোনো জাঁকজমক। ঠাকুমা গৌরিদেবীর আদলে এবছর তৈরী হল মায়ের মুখ। ঐতিহ্য মেনেই আজও পুজোর দিন ভোরে গঙ্গায় ডুব দিয়ে ঘট ভরে আনলেন মথুর বাবু। সারাদিন উপোস করে পুজো শুরু করে দিয়েছেন মথুরবাবু।
দেবীমূর্তির পরনে রয়েছে লালপাড় সাদা শাড়ি। প্রতিমার মাথার উপরে লাল রঙের শালুর চাঁদোয়া। রজনীগন্ধা আর গোলাপ ফুল দিয়ে মাকে সাজিয়েছেন। ঠাকুরঘরে ধূতি পড়ে মন দিয়ে সংকল্পের আসনে বসে হোম শুরু করে দিয়েছেন নাতি গৌরব। মায়ের জন্য ভোগে লুচি,নারু, পান্তুয়া,তরকার করলেন বাড়ির মেয়েরা। সবই এক আছে শুধু পার্থক্য এবছর করোনা আবহে বাইরের দর্শনার্থী আর বন্ধু বান্ধবের অনুপস্থিতি। অবশ্য নিজেদের ফ্যানেদের জন্য মথুরবাবু মাতৃপুজোর সমস্ত ছবি শেয়ার করেছেন।