পাঁচ মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত। তরুণী অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) ছেড়ে গেছেন সকল পার্থিব মায়া। নিজের পরিবার-পরিজন, কাছের মানুষ তথা গোটা বাংলাকে কাঁদিয়ে নে ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন অভিনেত্রী। তার মৃত্যুশোক যেন নভেম্বরের মৃদু শীতকে বাড়িয়ে দিয়েছিল কয়েকগুণ। কিন্তু আজ এতগুলো দিন কেটে যাওয়ার পরও স্মৃতিতে যেন আজও ভেসে ওঠে ‘মিষ্টি’র সেই হাসিমাখা মুখের আদল। পরিবার তো বটেই, আপামর বাঙালির মনেও আজও নাড়া দিয়ে যায় তার স্মৃতি। আর এবার সেই স্মৃতি আরো কিছুটা উস্কে দিল ‘দিদি নং-১’-এর মঞ্চে তার মা ও দিদির উপস্থিতি।
দিনের পর দিন একটা লড়াইয়ের নাম হয়ে উঠেছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। একবার নয়, দু’বার ক্যানসারের মতো মারণ রোগকে জয় করে নিজেকে দৃঢ় রেখেছিলেন তিনি। অল্প বয়সেই লড়েছিলেন জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ লড়াই। আর সেই লড়াইয়ের গল্প তিনি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন ‘দিদি নং-১’-এর মঞ্চেই। সেদিন দর্শকদের আসনে বসে ঝরঝর করে কাঁদছিলেন তার মা শিখা শর্মা। লড়াইয়ের গল্প শুনে তাকে স্নেহের আলিঙ্গন দিয়েছিলেন শোয়ের সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই ছবিটা বদলে গেল সময়ের অবকাশে।
গত ২৭ শে এপ্রিল আবারো এই রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে চাঙ্গা হয়ে উঠল ঐন্দ্রিলা শর্মার স্মৃতি। কারণ এদিনের শোয়ে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তার মা শিখা শর্মা এবং দিদি ঐশ্বর্য শর্মা। মা ও মেয়ের বিশেষ এপিসোডে হাজির ছিলেন তারা। ছোট মেয়ের ইচ্ছে পূরণ করতেই বড় মেয়ের হাত ধরে এই শোয়ে আবার আসা বলে জানান শিখা দেবী। তবে এদিন তিনি নিজেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। মুহুর্মুহু ভিজে যাচ্ছিল তার চোখ। এর মাঝেই ছোটবেলার স্মৃতিতে ডুব দিয়ে তিনি বলেন যে ঐন্দ্রিলা নাকি স্কুল পালিয়ে একদিন সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। ঐশ্বর্য বলেন, “বোন আমাদের পরিবারের রং ছিল। ও চলে যাওয়ায় জীবন সাদাকালো হয়ে গিয়েছে।”
এদিকে যে কথাটি বলতে গিয়ে নিজেকে সামলাতে পারলেন না অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা, তা হল ঐন্দ্রিলার সঙ্গে তার শেষবার কথোপকথন। তিনি জানান যে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার আগে তিনি ঐন্দ্রিলার সঙ্গে কথা বলছিলেন। আর সেই স্মৃতি ভাগ করে নিয়ে তিনি বলেন, “আমার পাশে শুয়ে গল্প করছিল ও। গোয়া যাবে বলল। তারপর বলল সিনেমা দেখতে যাবে। তারপরেই আচমকা বলে উঠল হাত-পা নাড়াতে পারছে না। ১৫ মিনিটের মধ্যে সবটা ঘটে গেল।”
View this post on Instagram